৭২-৭৫ এ ৩০ হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করে আ’লীগ : গয়েশ্বর
১৯৭২-৭৪ সালে মুক্তিযোদ্ধা ও ভিন্ন চিন্তার মানুষ হত্যার ইতিহাস তুলে ধরে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ওই সময়ে তারা (আওয়ামী লীগ) মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা শুরু করে যার তালিকা ৩০ হাজারের উপরে। সেই দল দাবি করে তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দল।
তিনি বলেন, তারা যুদ্ধাপরাধীর বিচার করেছে। কিন্তু ১৯৭১ সালে বা ৭০ সালের নির্বাচনে যারা আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত হয়েছেন তার মধ্যে ৪৩ জন আছেন যারা পাকিস্তানের পক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন, যারা স্বাধীনতার যুদ্ধের বিপক্ষে বিবৃতি দিয়েছিলেন। তারা কিন্তু ঘুরে-ফিরে আবারো এই সংসদে আসছেন। তাদেরকে তিরস্কারও হয়নি, তাদের বিচারও করা হয়নি, তাদের আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারও করা হয়নি। তারা মুক্তিযুদ্ধের ‘দল’।
মঙ্গলবার দলের ৪২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক ভার্চুয়াল আলোচনায় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমান খাল খনন করছিলেন কেন? শুষ্ক মৌসুমে পানির অভাব? কি কারণে পানির অভাব? ফারাক্কার মধ্য দিয়ে এই যে পানি প্রবাহ আটকানো। তিনি ভেবেছিলেন যে- ফারাক্বায় ভারতের সাথে চুক্তি করে পানি এনে পারবে না। তাই তিনি স্বনির্ভর করার জন্য পানির ক্ষেত্রে খাল-বিল-নদী-নালা খননের কাজ শুরু করেন। তখন সংসদে আওয়ামী লীগের এক নেতা রসিকতা করে বলেছিল, জিয়াউর রহমান খাল কেটে কুমির আনছেন। সেদিন তার কথাটা কেউ পছন্দ না করলে আজকে দেখা যায়- জিয়াউর রহমান খাল কেটে পানি আনার সাথে যে একটা কুমির আসছিলো অনেক কাল পরে জনগণ লক্ষ্য করছে। যে কুমিরের পেটে আজকে গণতন্ত্র, যে কুমিরের পেটে আজকে বিচার বিভাগ, যে কুমির বিনা বিচারে মানুষ হত্যা করে, যে কুমির খুন করে, গুম করে, যে কুমিরের কারণে দেশনেত্রীকে বিনা বিচারে জেলে থাকতে হয়।
৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত এই ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য জমিরউদ্দিন সরকার, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, মহানগর দক্ষিণের হাবিব উন নবী খান সোহেল, উত্তরের মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু, যুব দলের সাইফুল আলম নিরব, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসেইন, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, মুক্তিযোদ্ধা দলের ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, ছাত্র দলের ফজলুর রহমান খে্াকন, মতস্যজীবী দলের আবদুর রহিম বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে অঙ্গসংগঠনের কাজী আবুল বাশার, আবদুল আলীম নকি, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, হাসান জাফির তুহিন, সুলতানা আহমেদ, নজরুল ইসলাম তালুকদার, ইকবাল হোসেন শ্যামলও যুক্ত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে উলামা দলের শাহ নেছারুল হক দলের প্রতিষ্ঠাতাসহ নেতা-কর্মীদের জন্য মোনাজাত পরিচালনা করেন।