৪০০ মুক্তিযোদ্ধার সাক্ষাৎকার নিয়ে নির্মিত হবে তথ্যচিত্র
মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি রোধ, সঠিক ইতিহাস প্রকাশ এবং মুক্তিযুদ্ধের দলিলপত্র ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক অনুষ্ঠানাদি বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভে সংরক্ষণের জন্য দেশি-বিদেশি উৎস থেকে অডিও-ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হবে। পাশাপাশি ৪০০ জন মুক্তিযোদ্ধার সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে তথ্যচিত্র নির্মাণ করবে সরকার।
প্রশিক্ষণ ও বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের সক্ষমতা বাড়ানো হবে। ফিল্ম আর্কাইভে আধুনিক ফিল্ম মিউজিয়াম স্থাপন করা হবে। ‘দেশি ও বিদেশি উৎস থেকে মুক্তিযুদ্ধের অডিও-ফিজুয়াল দলিল সংগ্রহ ও তার সংরক্ষণ এবং বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের সক্ষমতা বৃদ্ধি’ প্রকল্পের আওতায় এমন উদ্যোগ নেওয়া হবে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ৬৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। চলতি সময় থেকে ২০২২ সালের জুন মেয়াদে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
এই প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. ছালাহ উদ্দীন বলেন, ‘প্রকল্পটি একবারেই প্রাথমিক অবস্থায় আছে। প্রকল্পটি নিয়ে আমাদের কর্মকর্তারা কাজ করছেন। আশা করি, খুব তাড়াতাড়ি এর অগ্রগতি হবে।’
প্রকল্পের আওতায় ৫ কোটি টাকার রিয়েল টাইম ফিল্ম স্ক্যানার কেনা হবে। ফিল্ম রেস্টোরেশন সিস্টেম এডিটিংয়ে ২ কোটি টাকা ব্যয় হবে। ইউনিট ফর কালার কারেকশন, নন-লিনিয়ার এডিটিং সিস্টেম, প্রমোশনাল ভিডিও-ক্যাম রেকর্ডার, আর্কাইভাল ক্যামেরা, হেভি ডিউটি ফটোকপিয়ার কেনা হবে। প্রকল্পটির নিট প্রেজেন্ট ভ্যালু দেখানো হয়েছে ৬৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত ১ হাজার দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বই ও জার্নাল কেনায় ব্যয় হবে ৫০ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের কারিগরি সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হবে। প্রকল্পের আওতায় দেশি-বিদেশি প্রশিক্ষণসহ দুষ্প্রাপ্য ও ধ্রুপদী মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক অডিও ভিজ্যুয়াল দলিল মুদ্রণ ও সংরক্ষণ করা হবে। সংশ্লিষ্ট বই, সাময়িকী, প্রকাশনা, গানের বই, পোস্টার, প্রচারপত্র সংরক্ষণ করবে সরকার।
বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ ১৯৮০ সালে ব্রাসেলস-ভিত্তিক আন্তর্জাতিক ফেডারেশন অব ফিল্ম আর্কাইভসের সদস্য পদ লাভ করে। বিশ্বের ৭৫টি দেশের ৮৯টি প্রতিষ্ঠান এ ফেডারেশনের সদস্য।