১৬ কোটি টাকায় সাজানো হলো পার্কের ৫ ধরনের হাঁটার পথ

September 13 2020, 01:34

বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমদ পার্ক প্রকল্প ব্যয় ১৬ কোটি টাকা। পার্কের পার্কের আয়তন নয় একর।

প্রকৃতিগতভাবেই এ পার্কটি বেশ সমৃদ্ধ।
বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ১ হাজার ৭০০ গাছ ছাড়াও হাঁটার পথ ও সাইকেল লেন রয়েছে। এপার্কে পাঁচ ধরনের হাঁটার পথ রয়েছে। লাল ইটের, কনক্রিট ব্লকের, সবুজ ঘাসের পথ, ডব্লিউ পি সি (উড প্লাস্টিক কম্পোজিট) প্ল্যাংকের পথ এবং ইলাসটো পেভের বাই সাইকেল লেনের পথ।
শনিবার((১২ সেপ্টেম্বর) ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। এটি ঢাকা শহরের গুলশান এলাকায় অবস্থিত দূতাবাস এলাকা সংলগ্ন একটি কমিউনিটি পার্ক। এটি ‘গুলশান ট্যাংক পার্ক’নামেও পরিচিত।

পার্কের ডিজাইনে জনসম্পৃক্ততা, পার্কের ব্যবহারকারী এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠকের পর জনসম্পৃক্ততা নিশ্চিত করেই বয়োজ্যেষ্ঠ মহিলা-পুরুষ, তরুণ-তরুণী, শিশু-কিশোর সকলের জন্যই বিভিন্ন বিনোদন ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

পার্ক ব্যবহারকারীদের জন্য টয়লেট (মহিলা এবং পুরুষ), গোসলখানাসহ জিমনেসিয়াম, ওযুখানাসহ নামাযের স্থান, কেন্টিন ও ছয়টি বসার কিয়স্ক রয়েছে।
পার্কটিতে বঙ্গবন্ধু কর্নারসহ একটি লাইব্রেরি করা হয়েছে। তিনটি পুকুরঘাট সুবিন্যস্ত করার পাশাপাশি, জলাধারের চারপাশে তিনটি দর্শন ডেক সমৃদ্ধ একটি হাঁটার পথ নির্মাণ করা হয়েছে।

জলাধারের উত্তর পশ্চিমের ঢালে নির্মিত একত্রে ৪০০ মানুষের বসার সুবিধা সম্বলিত ঘাসে ঢাকা সবুজ মুক্তমঞ্চ (এমপিথিয়েটার) নির্মিত হয়েছে। মুক্তমঞ্চের সামনে জলাধারের ওপর নির্মিত পারফরম্যান্স ডেক এবং জলাধার থেকে বেরিয়ে আসা কৃত্রিম পানির ফোয়ারার জলচ্ছ্বটা স্থাপন করা হয়েছে।
এছাড়া তরুণদের জন্য একটি আউটডোর বাস্কেটবল গ্রাউন্ড নির্মাণ করা হয়েছে, রয়েছে একটি ব্যাডমিন্টন কোর্টও। ইনডোর ও আউটডোর ব্যায়ামাগার ছাড়া শিশুদের জন্য বিভিন্ন খেলার রাইড এর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে (ক্রয় প্রক্রিয়াধীন)।

পার্কটিকে সুন্দরভাবে ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে সিসিটিভি কন্ট্রোলরুম স্থাপন করা হয়েছে, যেখানে থেকে পার্কটি সার্বক্ষণিক নজরদারিতে থাকতে পারে। এই কন্ট্রোলরুমের পাশ দিয়ে সিঁড়ি বেয়ে ৪ তলা উঠলেই ওপর থেকে পুরো পার্কের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন দর্শনার্থীরা।