হুমায়ূন আহমেদ : চেনা জগতের অচেনা মানুষ

October 19 2019, 19:50

হুমায়ূন আহমেদ : জন্ম ১৩ নভেম্বর ১৯৪৮, মৃত্যু ১৯ জুলাই ২০১২

গত শতকের মধ্য ষাটের পর উড়াল শুরু হয়েছিল আমার। বাল্য থেকে কৈশোরে। তার বেশ আগেই নিজের অগোচরেই নীরব আত্মসমর্পণ ঘটেছিল বইয়ের নেশার কাছে। ১৯৬৬ থেকে ১৯৭০-এর মধ্যে আগ্রাসী ক্ষুধা মেটাতে যেখানে যা পেয়েছি, তাই পড়েছি। যেসব লেখকের বই পড়লাম তার মধ্যে ছিলÑ মীর মশাররফ হোসেনের ‘বিষাদসিন্ধু’; মোহাম্মদ নজিবর রহমানের ‘আনোয়ারা’; সৈয়দ ইসমাইল হোসেন শিরাজীর ‘রায়নন্দিনী’; মোহাম্মদ কোরবান আলীর ‘মনোয়ারা’ এম এ হাশেম খানের ‘আলোর পরশ’; আবদুর রাজ্জাকের ‘কন্যাকুমারী’: ইসহাক চাখারীর ‘মেঘবরণ কেশ’; আবু ইসহাকের ‘সূর্যদীঘল বাড়ি’; রশীদ করীমের ‘উত্তম পুরুষ’ ইত্যাদি। এগুলোর মধ্যে ‘কন্যাকুমারী’ থেকে উত্তম পুরুষ পর্যন্ত ছিল সেকালের আধুনিক উপন্যাস। তখন আরো যারা লিখছিলেন যেমন- শওকত ওসমান, আলাউদ্দীন আল আজাদ, সৈয়দ শামসুল হক, শামসুদ্দীন আবুল কালামসহ অন্যদের উপন্যাস পড়ার সুযোগ হয়নি। ১৯৭২ সালে কলেজে ভর্তি হয়ে শহরবাসী হলাম। সে বছরই প্রকাশিত হয় তরুণ সমাজের মধ্যে আলোড়ন জাগানো ‘সাপ্তাহিক বিচিত্রা’। ‘বিচিত্রা’ সে বছর প্রকাশ করল ঈদ সংখ্যা। সাগ্রহে সংখ্যাটি কিনেছিলাম। তাতে পাঁচ বা ছয়টি উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছিল মনে হয়। কার কার উপন্যাস, আজ আর মনে নেই। তবে স্বাধীন বাংলাদেশে সেই প্রথম আধুনিক উপন্যাসের সাথে পরিচিত হলাম। যা হোক, ১৯৭২-৭৩-এ দু’জন নতুন ও তরুণ উপন্যাস লেখকের নাম শুনলাম- একজন মাহমুদুল হক, তার উপন্যাসের নাম ‘জীবন আমার বোন’, অন্যজন হুমায়ূন আহমেদ- উপন্যাসের নাম ‘নন্দিত নরকে’। এ দুজনের নাম বেশ ছড়িয়ে পড়ে, বিশেষ করে হুমায়ূন আহমেদের নাম। তিনি পরে বিভিন্ন পত্রিকার ঈদসংখ্যাগুলোতে অনেক উপন্যাস লেখেন। পাশাপাশি তার অনেক উপন্যাস সরাসরি প্রকাশিত হয়।

হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসের সঠিক সংখ্যা আমার জানা নেই, তবে তা তিন শ’র মতো হতে পারে। ১৯৭২ থেকে হিসাব করলে তার লেখালেখির সময়কাল ছিল পঞ্চাশ বছর। শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানের কয়েক বছর বিরতি ছিল। তারপর আবার তিনি পূর্ণগতিতে লেখা চালিয়ে গেছেন। উল্লেখ্য, প্রথম উপন্যাসেই সাড়া জাগালেও পরবর্তীকালে তিনি যে হুমায়ূন আহমেদ হয়ে ওঠেন, তার সেই খ্যাতি ও জনপ্রিয়তা হঠাৎ করেই আসেনি, বরং দীর্ঘ দিনে তার মিনার তৈরি হয়েছে বলে দেখা যায়।
সে সময় উপন্যাস পাঠের আমার প্রচণ্ড নেশা থাকলেও গ্রন্থাকারে প্রকাশিত সব উপন্যাস কিনে পড়ার সামর্থ্য ছিল না। তাই প্রতি বছর বিভিন্ন সাপ্তাহিক পত্রিকার প্রকাশিত ঈদ সংখ্যাগুলো কিনে আমি উপন্যাস পড়ার নেশা মেটাতাম। এক একটি পত্রিকায় মোটামুটি পাঁচ থেকে ছয়টি উপন্যাস প্রকাশিত হতো। তাই একটু কষ্ট করে তিন-চারটি ঈদ সংখ্যা কিনলে বেশ কিছু উপন্যাস মিলত। প্রখ্যাত ঔপন্যাসিকদের সবাই ঈদসংখ্যাগুলোতে লিখতেন। যাদের লেখার কথা মনে পড়ে তারা হলেন- শওকত ওসমান, আলাউদ্দীন আল আজাদ, আবু জাফর শামসুদ্দীন, সৈয়দ শামসুল হক, রশীদ করীম, রাহাত খান, রিজিয়া রহমান, রাবেয়া খাতুন, শামসুদ্দীন আবুল কালাম, মিরজা আবদুল হাই, আবদুন নূর, আবদুশ শাকুর, মীর আবুল হোসেন, আবুল খায়ের মুসলেহউদ্দীন, হাসনাত আবদুল হাই, আবদুল মান্নান সৈয়দ, নাজমুল আলম, মীজানুর রহমান শেলী, আল মাহমুদ, সেলিনা হোসেন, ইউসুফ শরীফ, আমজাদ হোসেন, ইমদাদুল হক মিলন, মইনুল আহসান সাবের, নাসরিন জাহান, অরুণ চৌধুরী, মঞ্জু সরকার, হরিপদ দত্ত, রেজানুর রহমান, ইসহাক খান প্রমুখ।

১৯৯০ সালে বিভিন্ন পত্রিকার ঈদ সংখ্যায় প্রকাশিত উপন্যাসগুলোর মধ্য থেকে উল্লেখযোগ্য উপন্যাসগুলোর ভিত্তিতে আমি ‘নব্বই সালের উপন্যাস : একটি পর্যালোচনা’ নামে একটি প্রবন্ধ লিখি। সেটি বাংলা ১৩৯৭ (১৯৯০ সাল) সালের ৬ পৌষ ‘দৈনিক জনতা’র সাহিত্য পাতায় প্রকাশিত হয়। এ লেখাটিতে আমি সে বছর তিনটি ঈদ সংখ্যায় প্রকাশিত হুমায়ূন আহমেদের তিনটি উপন্যাসের সংক্ষিপ্ত আলোচনা করি। উপন্যাসগুলো হলো- ‘গৌরীপুর জংশন’, ‘সমুদ্র বিলাস’ এবং ‘আমাদের শাদা বাড়ি’। অন্য দিকে ১৯৯১ সালে ঈদসংখ্যাগুলোতে প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য উপন্যাসগুলো নিয়ে আমি ‘দৈনিক বাংলার’ সাহিত্য পাতায় একটি প্রবন্ধ লিখি। ২ আগস্ট ১৯৯২ সে লেখাটি প্রকাশিত হয়। এ লেখাটিতেও আমি তার আরো তিনটি উপন্যাস নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেছিলাম। এগুলো হলো- ‘দুই দুয়ারি’, ‘একজন মায়াবতী’ ও ‘ভয়।’ যেহেতু তখনো তিনি পরবর্তীকালের হুমায়ূন আহমেদ হয়ে ওঠেননি, তাই সেই ১৯৯০-৯১ সালে তার কয়েকটি উপন্যাস নিয়ে এ আলোচনাটির একটি গুরুত্ব আছে।

উপন্যাস লিখতে হলে জোর কল্পনাশক্তির প্রয়োজন। তার সাথে প্রয়োজন প্রকাশ ক্ষমতা, ভাষার বাঁধুনি, তীক্ষè পর্যবেক্ষণ। হুমায়ূন আহমেদের এর সবই আছে। তার প্রমাণ তার ‘গৌরীপুর জংশন’ উপন্যাস। জয়নাল এ সমাজে থেকেও সমাজের মানুষ নয়। ভিন্ন এক পৃথিবীতে তার আনাগোনা। স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম, ল্যাংড়া পা, প্রতারণা তার সম্বল। এক সাদামাটা অথচ আকর্ষণীয় চরিত্র। পিঠে তিন মণি বস্তা পড়ার পর তাগদ হারায় জয়নাল, হারায় বউকে। কিন্তু তার পরও সে বেঁচে থাকে। ঘরের বউ একাধিক বিয়ে করে শেষে পতিতা হলো, তাতেও তার আফসোস নেই। অন্যকে প্রতারণা করে পাওয়া অর্থে তার হৃদয় দরাজ হয়ে যায়। কৃতজ্ঞতাবোধও আছে তার। কিন্তু কাজের কাজ করার কোনো ক্ষমতা তার নেই। এখানেই জয়নালের সীমাবদ্ধতা। হুমায়ূন আহমেদ আমাদের পরিচিত পৃথিবীর এক অপরিচিত মানুষকে আমাদের কাছে তুলে ধরেছেন তার এ ‘গৌরীপুর জংশন’ উপন্যাসে। তার অন্যান্য উপন্যাসের মতো এ উপন্যাসের জয়নালও স্বাভাবিকের মধ্যে অস্বাভাবিক। অতি সাধারণ হয়েও ভিন্নতর এক মানুষ। ব্যতিক্রমী পটভূমিতে এটি চমৎকার এক উপন্যাস।

হুমায়ূন আহমেদের প্রায় সব উপন্যাসেরই নায়ক-নায়িকা মনো-জটিলতার শিকার। সে কারণে তাদের আচার আচরণও অস্বাভাবিক। তার ‘সমুদ্র বিলাস’ উপন্যাসেও তার পরিচয় পাওয়া যায়। এ উপন্যাসের নায়ক তৌহিদ সরল ও উদাসীন মানুষ। ঘর-সংসারের কোনো ব্যাপারে তার যেমন আগ্রহ নেই, তেমনি আগ্রহ নেই রিমির ঘটনাবহুল অতীত নিয়েও। এ রকম নির্লিপ্ত, নিরাসক্ত, আবেগহীন চরিত্র শুধু হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসেই মানায়। সে তুলনায় রিমি অনেক বেশি রক্ত-মাংসের মানুষ, অনেক বেশি জীবন্ত, বিশ্বাসযোগ্য চরিত্র। জীবনের কলঙ্কিত অধ্যায়কে চেপে রাখা এবং প্রয়োজনে তার নিরাবরণ প্রকাশের সাহসও তার আছে। কিন্তু সে-ই কাহিনীর শেষে এসে কেমন রহস্যময় হয়ে ওঠে। জামাল সাহেব ও তার স্ত্রীর সাথে সমুদ্রে এসে সাগরে নামে রিমি। হাঁটু পানিতে নামার পর এক ঘোরের মধ্যে নেমে যেতে থাকে সমুদ্রের আরো গভীরে। হঠাৎ এক প্রচণ্ড ঢেউ এসে আছড়ে পড়ে তার ওপর। এ ঢেউ রিমিকে তীরে ছুড়ে ফেলতেও পারে আবার নিজের কাছে টেনেও নিতে পারে। এই রহস্যের মধ্যে পাঠককে নিক্ষেপ করে কাহিনীর ইতি টেনেছেন হুমায়ূন আহমেদ। কিন্তু কেন রিমির এ ঘোর, কেন তার এ আচরণ, পাঠকের কাছে তা পরিষ্কার হয় না।

হুমায়ূন আহমেদের ভিন্ন স্বাদের উপন্যাস ‘আমাদের শাদা বাড়ি’। বাবা-মা, তিন ভাই, দুই বোন নিয়ে সংসার। সবার মাথা গোঁজার ঠাঁই তাদের একতলা সাদা বাড়ি, যার মালিক অন্য ব্যক্তি- মঈনুদ্দিন। বাড়িটি একদিন তাকে ফিরিয়ে দিতে হবে- বাŸার এ আশঙ্কা সংক্রমিত হয় পরিবারের অন্য সদস্যদের মধ্যেও। একসময় জানা যায়, মঈনুদ্দিন সাহেব তাদেরকেই বাড়িটি দান করেছেন। এরপর শুরু হয় অন্য রকম জটিলতা। শেষ পর্যন্ত মা দু’জন উকিলকে ডেকে পাঠান। মা কি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা পাঠকেরা জানতে পারে না। স্বল্পদৈর্ঘ্য এ উপন্যাসটি পাঠককে তেমন টানে না।

একটুখানি সচেতন পাঠকের হাতে লেখকের নাম ছাড়া হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস তুলে দিলে প্রথম পৃষ্ঠা পড়েই তিনি নিঃসন্দেহে লেখককে শনাক্ত করতে পারবেন। হতে পারে এটা হুমায়ূন আহমেদের কৃতিত্ব, সাফল্য। হতে পারে এটি তার ব্যর্থতাও। একজন লেখক তার প্রকরণের বা ভঙ্গির নির্দিষ্টতায় বৃত্তাবদ্ধ হয়ে গেলে কাহিনীর নতুনত্বের স্বাদ পাঠক পান, কিন্তু ভঙ্গিটি তার কাছে পুরনো হয়ে যায়। ‘দুই দুয়ারী’ উপন্যাসের ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে। সেই অস্বাভাবিক মানুষ, অবাস্তব কাহিনী, আধো রহস্য, আধো আতঙ্ক- এ সবই এ উপন্যাসে আছে। কারো কারো কাছে পড়তে ভালো লাগতেও পারে এটা। যারা আরো বেশি কিছু পেতে চান, তাদের জন্য হুমায়ূন আহমেদ এ উপন্যাসে কিছু দেননি- বলা ভালো, দিতে চাননি।

হুমায়ূন আহমেদের অন্য উপন্যাস ‘একজন মায়াবতী’তেও অপেক্ষাকৃত বৃহৎ পরিসরে সেই একই টাইপের চরিত্রগুলোর উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। মনজুর, নুরুল আফসার, বদরুল আলম, মীরা, জালাল উদ্দীন কেউই স্বাভাবিক আচার-আচরণের মানুষ নয়। এই অস্বাভাবিক মানুষজন ও ঘটনাবলির ভিড়ে সুস্থ বাস্তবতার একমাত্র আশ^াস জাহানারা। তাকে লেখক প্রথম থেকেই রক্ত-মাংসের স্বাভাবিক মানুষ হিসেবেই গড়ে তুলেছেন। গোটা উপন্যাসে স্বাভাবিক মানসিকতার পাঠক এ চরিত্রের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি খুঁজে পাবেন। প্রকৃতপক্ষে, দুঃখকষ্ট, সমস্যা-দুর্দশা, নানা টানাপড়েনের মধ্যে যারা দিন কাটান তারাও উপন্যাসে স্বাভাবিক মানুষ ও ঘটনাকেই দেখতে চান। অস্বাভাবিকতা সম্ভবত তাদেরই পছন্দ যারা খুব বেশি সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের মধ্যে জীবন কাটাতে গিয়ে হাঁপিয়ে উঠেছেন। অথবা যাদের জীবনে অভিজ্ঞতার ভাণ্ডার একেবারে শূন্য। তিনি যেহেতু একজন জনপ্রিয় লেখক তাই প্রশ্ন উঠতে পারে যে তার লেখা কারা পড়েন, কত বেশি পড়েন। তার পাঠেকরা কি তার উপন্যাসের কাহিনী ও চরিত্রগুলোর সাথে একাত্মতা বোধ করেন?

‘ভয়’ উপন্যাসেও সাধারণ অর্থে যাকে বলে অস্বাভাবিকতা, তারই আশ্রয় নিয়েছেন হুমায়ূন আহমেদ। তার এ উপন্যাসের বিষয় জিন। তার পাঠকদের হয়তো খেয়াল আছে যে, জিন নিয়ে আগেও তিনি লিখেছেন। এ উপন্যাসে মিসির আলিলকে এনে তিনি জিনে ধরা এক তরুণীর কাণ্ডকারখানার ব্যাখ্যা দিতে চেয়েছেন। বলা দরকার, গ্রামীণ সমাজে জিনের ব্যাপারটি এখনো বহুলভাবে স্বীকৃত, এমনকি শহর এলাকাতেও জিনের আসরের কিছু প্রমাণ মেলে। কেউ বিশ^াস করে, কেউ করে না। যা হোক, এ উপন্যাসে আমরা দেখি যে জিনে ধরা বিবাহিতা তরুণী লতিফা মিসির আলির সুবাদে বুঝতে পেরেছে যে এর আগে তার দু’টি সন্তানকে জিন নয়, সে নিজেই হত্যা করেছে। মিসির আলির যুক্তি- লতিফা মনোবিকারগ্রস্ত। নিজেকে ধ্বংসের প্রবণতা থেকেই সে সন্তানকে হত্যা করেছে। মিসির আলি তথা লেখকের এ ব্যাখ্যা মেনে নেয়া যেত। কিন্তু মেয়ে লোক যখন পুরুষের গলায় কথা বলে এবং এর ব্যাখ্যা হিসেবে হরমোনাল ব্যালান্সের যুক্তি দেয়া হয়, তখন এ ব্যাখ্যা মেনে নেয়া মুশকিল। হুমায়ূন আহমেদ নিশ্চয়ই জানেন, শুধু পোয়াতি মেয়েই নয়, পোয়াতি হওয়ার লক্ষণ নেই এমন তরুণী-যুবতিরাও তথাকথিত জিনে ধরার শিকার হয় এবং তারাও পুরুষের গলায় কথা বলে। আর এদের সবাই যে মনোবিকারগ্রস্ত, তাও নয়। সুতরাং তার এ ব্যাখ্যাও বিশ্বাসযোগ্য হয় না। তা ছাড়া জিনের ঢিল ছোড়ার রহস্যও তিনি ভেদ করতে পারেননি। সচেতন পাঠকের কাছে এ উপন্যাসটি ভালো নাও লাগতে পারে।

হুমায়ূন আহমেদের বহু উপন্যাসের চরিত্রেই আছে এই অস্বাভাবিকতা। আমরা অনেকেই সেসব উপন্যাস পছন্দ নাও করতে পারি, কিন্তু বর্তমান প্রজন্মের তরুণ-তরুণীরা তার লেখার অসম্ভব রকম ভক্ত। এখানেই ঔপন্যাসিক হিসেবে তার সাফল্য। এখানেই তিনি চেনা জগতের অচেনা মানুষ।