হামলা নিয়ে কী বলছে ইরানি ও পশ্চিমা গণমাধ্যম

January 08 2020, 18:56

ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের হামলার পর বিশ্বের গণমাধ্যমগুলো এক ধরনের ধোঁয়াশার মধ্যে পড়েছে। এই হামলায় আসলে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নিয়ে বিভিন্ন দেশের গণমাধ্যম বিভিন্ন তথ্য দিচ্ছে। বুধবার ইরাকের সময় অনুযায়ী রাত একটা ৪৫ থেকে দুইটা ৪৫ মিনিট এর মধ্যে ইরান এই হামলা চালিয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ইরাকের সামরিক বাহিনী।

ইরানের তেহরান টাইমস এই সংবাদটি প্রকাশ করেছে ইরানিয়ান রিভল্যুশনারি গার্ডের বরাত দিয়ে। সেখানে বলা হয়েছে, মিসাইল হামলায় ৮০ জনের বেশি মার্কিন সৈন্য নিহত হয়েছে। গণমাধ্যমটির খবরে রিভল্যুশনারি গার্ডের বিবৃতি উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে,‘মাঠে আমাদের সূত্রের নির্ভরযোগ্য প্রতিবেদন অনুযায়ী কমপক্ষে ৮০ মার্কিন সৈন্য নিহত এবং আরও ২০০ আহত হয়েছে। তাদেরকে তাৎক্ষণিকভাবে বিমানঘাঁটি থেকে হেলিকপ্টারযোগে স্থানান্তর করা হয়েছে।’ হামলাটি ঘটেছে পশ্চিম ইরাকের আইন আল আসাদ বিমান ঘাঁটিতে।

তেহরান টাইমস বলছে, ঘাঁটিটির ২০টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে এই হামলা চালানো হয়। এতে হতাহতের পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ড্রোন এবং হেলিকপ্টার ধ্বংস হয়। বাগদাদে কাসেম সোলাইমানি হত্যার প্রতিশোধ হিসেবেই এই হামলা চালানো হয়েছে। হোয়াইট হাউস যদি আরেকটি ভুল করে তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের ১০৪টি গুরুত্বপূর্ণ টার্গেটে হামলা চালাতে পারে ইরান, উল্লেখ করা হয়েছে তাদের প্রতিবেদনে।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক টাইমস অনলাইনে শিরোনাম করেছে, ইরাকে মার্কিন বাহিনীর উপর এক ডজনের বেশি মিসাইল হামলা চালিয়েছে ইরান। তারা প্রতিবেদনে বলেছে, মোট দুইটি ঘাঁটিতে হামলার ঘটনা ঘটে। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের সূত্র দিয়ে জানিয়েছে সেখানে কোনো মার্কিন সৈন্য হতাহত হয়নি। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফের টুইটও উল্লেখ করেছে তারা। তিনি বলেছেন,‘ইরান আত্মরক্ষার্থে সমুচিত প্রতিশোধ নিয়েছে। আমরা কোনো যুদ্ধ চাই না কিন্তু যেকোন আক্রমণ আমরা প্রতিরোধ করব।’

সিএনএন তাদের ওয়েবসাইটে এই বিষয়ক খবরের আপডেট দিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। হামলার কারণে কোন হতাহত হয়নি বলে মার্কিন আর ইরাকি সূত্র দিয়ে দাবি করেছে তারাও। মার্কিন সামরিক সূত্র তাদেরকে জানিয়েছে, মিসাইল হামলা শুরুর বেশ আগেই সৈন্যদের নিরাপদে আশ্রয় সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।

বিবিসি তাদের সংবাদ শিরোনাম করেছে, ব্যালাস্টিক মিসাইল হামলার শিকার হয়েছে মার্কিন বাহিনী। কোন হতাহত হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করেছে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যমটি।

আপডেট খবর প্রকাশ করছে কাতারভিত্তিক আলজাজিরাও। হামলার খবরটি পেন্টাগন নিশ্চিত করেছে বলে উল্লেখ করেছে তারা। তাদের মূল খবরে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়াও রয়েছে। নেতানিয়াহু বলেন, ইসরাইলে কেউ যদি হামলা চালায় তাহলে তার শক্তিশালী জবাব দেয়া হবে। দেশটি ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের পাশে থাকবে বলেও জানান তিনি।

সৌদি গেজেটের অনলাইনে ইরানের হামলা নিয়ে এখনও কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়নি। শীর্ষে রয়েছে দেশটির কাউন্সিল অব মিনিস্টার্সের সাপ্তাহিক বৈঠকের এক খবর। যেখানে এই অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করে এমন কর্মকাণ্ড প্রতিহত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। সূত্র : ডয়চে ভেলে।