হজের প্রাক-নিবন্ধন করা যাবে সারা বছর
হজ পালনে ইচ্ছুক ব্যক্তিরা সারা বছর প্রাক-নিবন্ধন করতে পারবেন।
বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা আনোয়ার হোসাইন এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, হজের প্রাক-নিবন্ধন কার্যক্রম সারা বছর চালু থাকবে। হজ পালনে ইচ্ছুক ব্যক্তি যেকোনো সময় প্রাক-নিবন্ধন করতে পারবেন।
এদিকে, এ পর্যন্ত ১ লাখ ৬২ হাজার ৪৯৭ ব্যক্তি প্রাক-নিবন্ধন করেছেন। তাদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধন করেছেন ৩ হাজার ৩৭৯ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় করেছেন ১ লাখ ৫৯ হাজার ১২১ জন।
হজ অফিস জানিয়েছে, এবার যারা হজে যেতে পারেননি তাদের মধ্যে যেসব হজযাত্রী টাকা ফেরত নেননি তারা আগামী বছর হজ পালনে অগ্রাধিকার পাবেন। আর যারা টাকা ফেরত নিয়েছেন তাদের আবার প্রাক-নিবন্ধন করতে হবে।
সৌদি আবরের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের চলতি বছরের চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ৩৭ হাজার ১৯৮ জনের হজ করার কোটা নির্ধারিত ছিল। এর মধ্যে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ২০ হাজার এবং সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৭ হাজার ১৯৮ জনের কোটা নির্ধারিত ছিল।
কিন্তু করোনা মহামারির কারণে এ বছর একেবারে সীমিত সংখ্যক মুসল্লির অংশগ্রহণে হজ পালিত হয়। সৌদি আরবে থাকা মুসল্লি ছাড়া অন্য কোনো দেশের মুসল্লিরা হজ পালনের সুযোগ পাননি।
অন্যদিকে, বুধবার ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক প্রাক-নিবন্ধন সিস্টেমের কার্যক্রমের মেয়াদ পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
হজের প্রাক-নিবন্ধনের পদ্ধতি:
হজ এজেন্সিগুলো লাইসেন্সের জন্য যে ই-মেইল অ্যাড্রেস হজ অফিসে জমা দিয়েছে, সেই ই-মেইল ব্যবহার করেই প্রাক-নিবন্ধন সিস্টেমে সাইন-আপ করতে হবে। এক ই-মেইল অ্যাড্রেস ব্যবহার করে একাধিক লাইসেন্সের কাজ করা যাবে না। প্রশিক্ষণ সার্ভারের ইউজার ও ডাটাবেজের সঙ্গে মূল সার্ভারের ইউজার ও ডাটাবেজের সম্পর্ক নেই। তাই মূল সার্ভারের জন্য আলাদাভাবে ইউজার আইডি নিতে হবে।
গোপনীতার সাথে পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে এবং আইটি হেল্প ডেস্কসহ কাউকে জানানো যাবে না।
প্রাক-নিবন্ধন শুরুর আগে হজের ওয়েবসাইটে দেওয়া বিস্তারিত তথ্য পড়ে বুঝে কাজ করতে হবে। এ বিষয়ে প্রশ্ন থাকলে হেল্পলাইনে (০৯৬০২৬৬৬৭০৭ ) ফোন করতে হবে।