সোলাইমানিকে বহনকৃত গাড়িকে ছুয়ে দিতে লক্ষ লক্ষ জনতার সমাগম

January 05 2020, 12:18

ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলাইমানির লাশ দেশে পৌঁছার পর ইরানের খুজিস্তান প্রদেশের প্রধান শহর আহওয়াজে জনতার ঢল নেমেছে। গোটা শহরই যেন এক জনসমুদ্র। শোকার্ত জনতা খুব কাছ থেকে তাদের বীরের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেছেন। জেনারেল সোলাইমানিকে বহনকারী গাড়িতে একবার হাত বুলিয়ে দিতে পারাকে পরম সৌভাগ্য বলে মনে করছেন অনেকে। এ কারণে গাড়ির সামনে পেছনে শুধুই মানুষ।

কেউ কেউ গাড়িতে কফিনের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তিদের কাছে এক ধরণের কালো কাপড় ছুঁড়ে দিচ্ছেন। এরপর তা কফিনে ছোঁয়ানোর পর আবারও ফিরিয়ে দিচ্ছেন তারা। জনতা সেই কাপড় ছিঁড়ে ভাগ করে নিচ্ছেন। বীরের কফিনের ছোঁয়া পাওয়া কাপড়ের টুকরো সযত্মে আজীবন রক্ষা করবেন তার স্মৃতি হিসেবে। এ এক আধ্যাত্মিক দৃশ্য!

রোববার ভোররাতে ইরাক থেকে ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় আহওয়াজ বিমানবন্দরে জেনারেল কাসেম সোলাইমানির লাশ পৌঁছায়। এ সময় আহওয়াজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইরানের শীর্ষস্থানীয় শত শত সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। আহওয়াজ থেকে সেলাইমানির লাশ নিয়ে যাওয়া হবে ইরানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় মাশহাদ নগরীতে। সেখানে জনতা তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। সেখানেও লাখ লাখ মানুষ সমবেত হয়েছেন।

এরপর সোমবার ইরানের রাজধানী তেহরানে সোলাইমানির জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে রাজধানী তেহরানে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এরপর যথাক্রমে কোম ও জেনারেল সোলায়মানির জন্মস্থান দক্ষিণ ইরানের কেরমান শহরে লাশ নিয়ে যাওয়া হবে। জেনারেলের ওসিয়ত অনুযায়ী কেরমানেই তার দাফন সম্পন্ন হবে।

শুক্রবার ভোররাতে ইরাকের রাজধানী বাগদাদে মার্কিন সন্ত্রাসী বাহিনীর বিমান হামলায় ইরানের কুদস ফোর্সের কমান্ডার লেঃ জেনারেল কাসেম সোলাইমানি শাহাদাৎবরণ করেন। ওই হামলায় জেনারেল সোলাইমানির সঙ্গে ইরাকের জনপ্রিয় সরকারপন্থি স্বেচ্ছাসেবী বাহিনী হাশদ আশ-শাবি’র উপপ্রধান আবু মাহদি আল-মুহানদিস’সহ দু’দেশের মোট ১০ জওয়ান ও কমান্ডার শহীদ হন। সূত্র : পার্সটুডে।