সিটি নির্বাচনে ভোট কম পড়েছে ৩টি কারণে : তথ্যমন্ত্রী
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির ‘বিরোধী প্রচারণা’সহ তিনটি কারণে ভোট কম পড়েছে বলে মনে করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘টানা তিনদিন ছুটি থাকায় অনেকে গ্রামে চলে গেছে, ইভিএম নিয়ে বিএনপি’র বিরোধী প্রচারণায় মানুষের মধ্যে সংশয় তৈরি হয়েছে বলে ৮-১০ শতাংশ মানুষ ভোট দিতে আসেনি এবং বিএনপি বলেছে এ নির্বাচনকে তারা আন্দোলন হিসেবে নিয়েছে।’
‘এসব কারণে ভোটে লোক কম এসেছে’ উল্লেখ করে ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনের পরের দিন রোববার সচিবালয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘তারপরও মোটামুটি ২৫ শতাংশ ভোট পড়েছে।’
উল্লেখ্য, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে শনিবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস (দক্ষিণ) ও আতিকুল ইসলাম (উত্তর) বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন। তবে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ দুই সিটিতেই ৩০ শতাংশের নিচে ভোট পড়েছে। যার মধ্যে দক্ষিণে ২৯ শতাংশ এবং উত্তরে ২৫ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
এদিকে নির্বাচনে কারচুপিসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে রোববার রাজধানীতে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘নির্বাচন অতীতের চেয়ে অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ হয়েছে। কোথাও কেন্দ্র দখল হয়নি, কোথাও বড় ধরনের সংঘর্ষ হয়নি।’
‘কয়েকটি কাগজে এসেছে ভোট কক্ষে উঁকি দিয়েছে। এত এত কেন্দ্র তার মধ্যে কয়েকটি কেন্দ্রে উঁকি দিয়েছে এটি কি বড় বিষয়? অতীতের দিকে তাকালে এটি বড় বিষয় না। অনেকে এটাকে বড় করে দেখাচ্ছে সেটি দুঃখজনক,’ যোগ করেন তিনি।
বিএনপির ডাকা হরতাল প্রসঙ্গে সাংবাদিকেদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘হরতালের কোন চিহ্ন নেই। ভোটের মাধ্যমে জনগণ বিএনপিকে প্রথ্যাখান করেছে। হরতালও জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে।’
ভোটের দিনে সাংবাদিকের উপর হামলা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘পেশাগত কাজে বাধা কোনভাবেই উচিত না। আমি শুনেছি বিএনপি’র কাউন্সিলর প্রার্থীর লোকেরা মেরেছে। তবে বিষয়টি নিয়ে পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।’ সূত্র : ইউএনবি।