সরকারের অবহেলায় করোনা সংক্রমণের বিস্তার ঘটেছে

July 06 2020, 10:01

বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের বৈঠকে শীর্ষ নেতারা মতৈক্যে পৌঁছে বলেছেন, করোনা মহামারিতে আক্রান্তদের সংখ্যা নিরূপণে সমন্বয়হীনতা, পর্যাপ্ত সংখ্যক সম্ভাব্য আক্রান্তদের টেস্ট সুবিধা প্রদান, যথাসময়ে সুচিকিৎসা প্রদান, ডাক্তার, নার্স, টেকনিশিয়ানদের যথাসময়ে প্রশিক্ষণ না দেয়া এবং সর্বোপরি প্রথম থেকেই দেশের সব সরকারী-বেসরকারী হাসপাতাল ও চিকিৎসা কেন্দ্রে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার সুযোগ সৃষ্টিতে সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিলম্ব ও অবহেলার কারণে মহামারি করোনা বিস্তার লাভ করেছে। করোনার বিস্তার রোধে সরকারী কর্মপরিকল্পনার ক্ষমাহীন দুর্বলতায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে যতদূত সম্ভব এসব নিরসনে জাতীয় উদ্যোগ গ্রহণের তাগিদ দেন জোটের নেতারা।

সোমবার দুপুরে জোটের সমন্বয়ক ও বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান এসব কথা বলেন। এর আগে রোববার বেলা ১১টা থেকে সোয়া ২টা পর্যন্ত ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের (তালিকা সংযুক্ত) ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা-পর্যালোচনা করে বেশকিছু প্রস্তাব ও সিদ্ধান্তবলী সর্বসম্মতিক্রমে গৃহিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে নজরুল ইসলাম খান বলেন, সভায় করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসক, চিকিৎসাকর্মী, সেনাবাহিনী ও আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য এবং এই মহামারীতে দেশের যে সব রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিশিষ্ট নাগরিকগণ ও সাধারণ মানুষ শাহাদাৎ বরণ করেছেন তাদের জন্য গভীর শোক প্রকাশ করে রুহের মাগফেরাত কামনা ও পরিবার পরিজনদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয়। উপযুক্ত ও পর্যাপ্ত সুরক্ষা সরঞ্জাম এবং যথোপযুক্ত ও সময়োচিত চিকিৎসা সেবার অভাবে অনেকের মৃত্যুর যেসব খবর পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে তাতে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এসব দুর্বলতা দূর করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।

তিনি বলেন, ২০ দল মনে করে যে, বিদ্যমান সঙ্কট নিরসনে দেশের সব রাজনৈতিক দল, শ্রেণি পেশার সংগঠন, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের সম্মিলিত ও সক্রিয় প্রয়াসই শুধু দেশবাসীকে ক্রমবর্দ্ধমান মহামারির ভয়াল প্রকোপ থেকে বাঁচাতে পারে। সরকারে মন্ত্রী, আমলা ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের বাগাড়ম্বর করোনা প্রতিরোধে কোনো ইতিবাচক ভূমিকা পালন করেনি বরং মহামারি বিস্তারে সহযোগীতা করেছে। জনগণকে বিভ্রান্ত করেছে এবং তাদের রোগ প্রতিরোধে অমনোযোগী করে তাদের জীবন-জীবিকা হুমকরি মুখে ঠেলে দিয়েছে।

২০ দলের সমন্বয়ক বলেন, বিরোধী রাজনৈতিক দলসমূহ, গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও বিশেষজ্ঞদের মতামত এবং মহামারী নিয়ন্ত্রণে সফল অভিজ্ঞতা যথাসময়ে আন্তরিকতার সাথে গ্রহণ করা হলে পরিস্থিতি ক্রমাবনতি রোধ করা সম্ভব হতো বলেও ২০ দল মনে করে। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের টেষ্টিং কিট নিয়ে অহেতুক সময় ক্ষেপন, বিদেশ থেকে নিম্নমানের কিট, মাস্ক, পিপিইসহ সুরক্ষা সামগ্রী আমদানিতে সীমাহীন দুর্নীতি এবং নিম্নমানের সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহারে অসংখ্য রোগী এবং ফ্রন্টলাইন স্বাস্থ্য সেবীদের বহুজনের মৃত্যুর কারণ বলে জানা গেছে। এটা শুধু দুর্ভাগ্যজনক নয়, ক্ষমাহীন অপরাধ, যার তদন্ত ও শাস্তি হওয়া দরকার বলে ২০ দল দাবি করে।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ২০ দল সারা বিশ্বের অভিজ্ঞতার আলোকে বিলম্বে বাস্তবায়ন সম্ভব এমন সব মেগা প্রকল্প স্থগিত করে সেই অর্থে করোনা সঙ্কট মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের এবং যতদূত সম্ভব উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত দৈনিক কমপক্ষে ৬০ হাজার কোভিড টেস্ট, মালিকানা নির্বিশেষে সব হাসপাতাল, ক্লিনিক ও চিকিৎসা কেন্দ্র আইসিইউ, ভেল্টিলেশন, আইসোলেশন ও পর্যাপ্ত ওষুধ, প্রশিক্ষিত ডাক্তার, নার্স, টেকনিশিয়ান, স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগের মাধ্যমে করোনা চিকিৎসার উপযোগী করার জোর দাবি জানাচ্ছে।

তিনি বলেন, ২০ দল দেশবাসীর সাথে অবাক বিষ্ময়ে লক্ষ্য করছে যে এমন এক সঙ্কটকালে পাঁচ লাখ কোটি টাকারও বেশি টাকা জাতীয় বাজেটে পাশ করা হয়েছে মাত্র একদিনের আলোচনায়। এমন হঠকারী, একনায়কসুলভ ও অস্বাভাবিক ঘটনা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে কল্পনাও করা যায় না। ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে। জাতীয় প্রবৃদ্ধির হার, রাজস্ব আয় আদায়, রফতানি ও আমদানি প্রবৃদ্ধি, রেমিট্যান্স বৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতির হার ইত্যাদি অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কাল্পনিক পরিমাণ নির্ধারণ করে বাজেটের আয়-ব্যয় অংক মেলানো হয়েছে। যেখানে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত ধ্বংস প্রায়, দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ অনিশ্চিত এবং কমতে বাধ্য, সরকার নিজেই রাষ্ট্রয়ত্বে পাট শিল্প বন্ধ করে ব্যক্তি মালিকানাধীন শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য শিল্প বন্ধ ও শ্রমিক ছাটাইয়ের সুযোগ সৃষ্টি করেছে, লাখো প্রবাসী যখন নিঃস্ব হয়ে দেশে ফিরছেন, গণপরিবহণ, হোটেল-রেস্টুরেন্ট, নির্মাণ, গৃহ শ্রমিক, হকার্স, কুলি স্বনিয়োজিত কোটি কোটি শ্রমিক যখন কর্মহীন, খাদ্যহীন অসহায় তখন সরকার তাদের জীবন রক্ষা ও জীবিকায় পুনর্বাসনের জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ না দিয়ে বাজেটে প্রবৃদ্ধির হার বৃদ্ধির মত রসিকতা করেছে।

সাবেক এই রাষ্ট্রদূত বলেন, জমির দলিল দেখানো কিম্বা অতীতে সফলভাবে ঋণ পরিশোধের শর্ত দিয়ে প্রান্তিক, ক্ষুদ্র চাষী ও বর্গাচাষীদের কৃষিখাতে বরাদ্দ সরকারী সহায়তা- ঋণ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। অথচ কৃষি খাত এদের উপরই মূলত নির্ভরশীল। নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ জোসেফ স্ট্রিগালিৎস থেকে শুরু করে দেশ-বিদেশের সব বিশেষজ্ঞগণ যখন বেকারত্ব বিপুল হারে বৃদ্ধির কথা বলছেন, তখন বাংলাদেশ সরকার রাষ্ট্রয়ত্ব ব্যাংক থেকে অধিক ঋণ নিয়ে বেসরকারী বিনিয়োগ সীমিত করে কর্মসংস্থানের সুযোগ রুদ্ধ করছে। বিদেশে প্রত্যাগত প্রবাসীদের জন্য পরিকল্পনা অস্পস্ট এবং নগন্য বরাদ্দ জাতীয় অর্থনীতিতে বছরের পর বছর তাদের অবদানকে অস্বীকার করারি নামান্তর। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার প্রতিবেদনে বাংলাদেশসহ বিশ্বের কর্মক্ষম মানুষের প্রায় অর্ধেক বেকার হবে বলে যে শঙ্কার কথা বলা হয়েছে- তা বিবেচনায় নিয়ে দেশ-বিদেশে নতুন কর্মক্ষেত্র অনুসন্ধান এবং সেইসব ক্ষেত্রে কাজের জন্য দেশের সক্ষম নাগরিকদের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের স্বল্প ও মধ্যমেয়াদী ব্যপক উদ্যোগ নেয়া জরুরি হলেও এ ব্যাপারে বাজেট প্রয়োজনীয় দিকনের্দশনা নেই কিম্বা পর্যাপ্ত বরাদ্দও রাখা হয়নি।

নজরুল ইসলাম খান আরো বলেন, তৈরি পোশাক শিল্প সরকারী প্রণোদনা পেয়েছে এবং আরো অধিক প্রণোদনার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে আবেদন জানিয়েছে। কিন্তু প্রণোদনার অর্থে সব শ্রমিক বকেয়া বেতন না পাওয়ায় রাজপথে মিছিল-অবরোধ করছে। ২০ দল শ্রমিকদের বাঁচিয়ে রাখার জন্য বেতন পরিশোধ ও ছাঁটাই না করার শর্তে ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটির শিল্পসহ সব শিল্পকে প্রণোদনা এবং সহজ শর্তে ঋণ প্রদানের দাবি জানাচ্ছে।

রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের প্রতি কুটক্তি ও অপমানজনক বক্তব্য প্রদানকারী মন্ত্রীদের প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রর্থনার আহ্বান জানিয়ে ২০ দল যে প্রবাসী শ্রমিকগণ ছুটিতে এসে আর্থিক সঙ্কটে পড়েছেন তাদের প্রতিমাসে অন্তত ১৫ হাজার টাকা এবং যারা অনিবার্য কারণে ফিরতে বাধ্য হবেন তাদের সম্মানজনক পুনর্বাসনের জন্য পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দের জোর দাবি জানাচ্ছে। একই সাথে প্রবাসে কর্মহীন বাংলাদেশী শ্রমিকদের জীবন ও জীবিকা সুরক্ষায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট দূতাবাস সমূহকে দূত সক্রিয় হওয়ার দাবী জানাচ্ছে। অনিবার্য কারণে বেকার হয়ে পড়া এবং দিন আনে দিন খায় এমন দরিদ্র পরিবারসমূহকে যতদিন প্রয়োজন ততদিন রেশন কার্ডের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধনে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সরবরাহের মাধ্যমে তাদের বাঁচিয়ে রাখার জন্য ২০ দল সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছে।

তিনি বলেন, দেশের প্রত্যেকটি শ্রমঘন এবং ঘন জনসবতিপূর্ণ অঞ্চলে কোভিড পরিক্ষা ও চিকিৎসার জন্য অস্থায়ী হাসপাতাল স্থাপনের এবং পরবর্তীতে সেগুলো সরকারী-বেসরকারী যৌথ মালিকানায় পরিচালনার জন্য ২০ দল দাবি জানাচ্ছে। সমাজের অর্থবান ব্যক্তিদের এ ব্যাপারে উদ্যোগী হওয়ার জন্য ২০ দল অনুরোধ জানাচ্ছে। ২০ দল মনে করে, এ ব্যাপারে সরকার, আন্তর্জাতিক সংস্থা সমূহ ও বন্ধুপ্রতীম বিভিন্ন রাষ্ট্র সহযোগিতা করতে পারে। ২০ দল মনে করে যে, থাইল্যান্ডের প্রায়ত রাজা, সিংগাপুর ও মালোয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মত আমাদের দেশের মন্ত্রী, এমপি, জনপ্রতিনিধি, জননেতা, উর্ধ্বতন আমলারা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিলে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি হত।

তিনি বলেন, সভায় সরকারী সেবা প্রতিষ্ঠান যথা বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির বিল পরিশোধে বিপন্ন জনগণকে বাধ্য করার সরকারী উদ্যোগের তীব্র নিন্দা জানিয়ে আগামী ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত এসব বিল আদায় স্থগিত ঘোষণার এবং কর্মহীন ও দরিদ্র মানুষদের বিল মওকুফ করার জোর দাবি জানাচ্ছে। নেপালের মত দেশেও যেখানে করোনা টেস্টের জন্য জনগণকে টাকা খরচ করতে হয় না এমন কী প্রাইভেট হাসপাতালে পরীক্ষা করতে হলে তার বিল সরকার পরিশোধ করে, সেখানে আমাদের দেশে দরিদ্র মানুষের জন্যও সরকার কর্তৃক ঘোষিত ‘সরকারী রোগ’ করোনা টেস্টের জন্য ২০০ টাকা/৫০০ টাকা ফি নির্ধারণের অন্যায় ও অমানবিক সিদ্ধান্ত বাতিলের জন্য ২০ দল জোর দাবি জানাচ্ছে। একইসাথে ২০ দল বিদ্যমান পরিস্থিতিতে যথাসম্ভব ঘরে থাকা, জনসমাগম এড়িয়ে চলা এবং ই-কমার্সের সুযোগ গ্রহণের পাশাপাশি আত্মীয় বন্ধুদের সাথে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম বহুল ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের কলচার্জের উপর আরোপিত অতিরিক্ত কর প্রত্যাহারের সরকারের প্রতি দাবি জানাচ্ছে।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ২০ দল মনে করে যে, মাত্র এক বছর হাতে গোনা কিছু ক্ষমতাধর দুর্নীতিবান মানুষ যে পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার করে কিম্বা সুইস ব্যাংকে জমা করে কিম্বা বেগম পাড়ায় অথবা সেকেন্ড হোমে বিনিয়োগ করে তা উদ্ধার করা গেলে কোভিড মহামারী নিয়ন্ত্রণ কিম্বা স্বাস্থ্যখাতের স্থায়ী উন্নয়নের জন্য কারো কাছে হাত পাতার প্রয়োজন হবে না। কিন্তু সরকার কোনো অজ্ঞাত কারণে এটা করছে না সেটাই দেশবাসীর প্রশ্ন? বছরের পর বছর সামান্য কিছু টাকা জমা দিয়ে কালো টাকা সাদা করার মাধ্যমে দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয়ার অপসংস্কৃতিও বন্ধ করার দাবি জানায় ২০ দল। বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, এডিবি, সিপিডিসহ আন্তর্জাতিক কিম্বা দেশীয় প্রতিষ্ঠানের কোনো মতামতকেই গুরুত্ব না দিয়ে যে বাজেট প্রণয়ন করা হলো তা দরিদ্র গণমানুষের কোনো কল্যাণ করবেনা ধনবান ও ক্ষমতাসীনদের স্বার্থ রক্ষা করবে বলে ২০ দল এই বাজেট প্রত্যাখ্যান করছে।

তিনি বলেন, মাত্র কিছুদিন আগে আমফানে দেশের লাখও পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সম্প্রতি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন দেশের কয়েকটি জেলার আরো কয়েক লাখ পরিবার। ২০ দল এই সব ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে প্রয়োজনীয় ত্রাণ সহায়তা প্রদান এবং পুনর্বাসনে সর্বাত্মক সহায়তার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছে। একইসাথে সভায় পাটকল সমূহ বন্ধ করার ফলে পাট শিল্পের শ্রমিক-কর্মচারীবৃন্দ ও তাদের পরিবারের সদস্যগণ যাতে নিঃস্ব না হয়ে পড়ে কিম্বা পাট চাষীরা যাতে তাদের উৎপাদিত পাটের উপযুক্ত মূল্য থেকে বঞ্চিত না হয় তা নিশ্চিত করার জন্যও সরকারের প্রতি জোর দাবি জানানো হয়।

এছাড়াও ২০ দল গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছে যে, দেশ ও জনগণ যখন করোনা মহামারীতে বিপর্যস্থ, আত্মরক্ষা এবং জনগণের জন্য ত্রাণ বিতরণে ব্যস্ত তখন নির্বাচন কমিশন বহুল প্রচারিত কয়েকটি ইংলিশ শব্দ পরিবর্তনের জন্য আরপিও’র একটি অধ্যায়কে রাজনৈতিক দশ নিবন্ধন আইন ২০২০ নামে একটি নতুন আইন প্রণয়নে উদ্যোগী হয়েছে। যা অসময়োপযোগী, অপ্রয়োজনীয় এবং অবশ্যই উদ্দেশ্যমূলক বিষয় ২০ দল নির্বাচন কমিশনকে এই ফরমায়েশী কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছে। ২০ দলীয় জোটের শরীক দল সমূহ ইতোমধ্যেই সারাদেশে যে ত্রাণ তৎপরতা চালাছেন তা আরো বিস্তৃত করার জন্য সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।