সরকারকে নিয়ে ‘রাস্তার ভাষায়’ কথা বলেছেন ড. কামাল : কাদের

February 09 2020, 09:50

রাজধানীর পল্টনে শনিবার বিএনপির সমাবেশে সরকারকে নিয়ে ড. কামাল হোসেনের উক্তিকে আপত্তিকর ও রাস্তার ভাষা বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ড. কামাল হোসেন বিএনপি’র সমাবেশে সরকারকে লাথি মেরে উচ্ছেদ করবে বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা গণতান্ত্রিক ভাষা হতে পারে না, এটা রাস্তার ভাষা। তার মতো ব্যক্তি কী করে এমন রাস্তার ভাষায় কথা বলে? তিনি সীমা ছাড়িয়ে গেছেন।

আজ রোববার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুর, মেঘনা ও গোমতি দ্বিতীয় সেতু নির্মাণ ও পুরনো তিনটি সেতুর পূণর্বাসন প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বেগম খালেদা জিয়ার মামলা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা কোনো রাজনৈতিক মামলা না। তার এই মামলা সরকার করেনি। তার মামলা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলের মামলা। তাকে রাজনৈতিকভাবে মুক্ত করার সুযোগ নেই। এটা কারামুক্ত করা আদালতের ব্যাপার। আর এই মামলা বিলম্বের জন্য বিএনপি দায়ী বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, তারা সময়মতো আদালতে হাজিরা দিলে এই মামলা অনেক আগেই নিষ্পত্তি হয়ে যেতো।

বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির ব্যাপারে বিএনপি আন্দোলনের নামে আবারো দেশে জ্বালাও পোড়াও করে সহিংসতা সৃষ্টির চেষ্টা করলে আইন-শৃংখলা বাহিনী উপযুক্ত জবাব দিবে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠিত করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে কাঁচপুর, মেঘনা ও গোমতি দ্বিতীয় তিনটি সেতু জাপানের সহায়তায় আধুনিক ও যুগোপযোগী করে চার লেনে নির্মাণ করা হয়েছে। জাপানি কোম্পানি জাইকা আজ এই সেতু তিনটি আমাদের কাছে হস্তান্তর করল। সেতু তিনটির কাজ নির্ধারিত সময়ের ছয় মাস আগে সম্পন্ন করায় ১৩ শ’ ৮৮ কোটি টাকা ব্যয় কম হওয়ায় জাপান সরকারের প্রতি ধন্যবাদ জানান তিনি। এই তিনটি সেতু দৃষ্টান্ত ও দেশের সড়ক পরিবহন ও সেতু বিভাগের সব প্রকৌশলী ও ঠিকাদারদের জন্য শিক্ষনীয় ও অনুকরণীয় হয়ে থাকবে বলেও মনে করেন ওবায়দুল কাদের।

চার লেন বিশিষ্ট এই সেতু তিনটি দেশের সর্ববৃহৎ মহাসড়ক ঢাকা-চট্টগ্রামের সাথে যোগাযোগ চার থেকে পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে সম্ভব এবং সহজ হবে বলে জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে স্থানীয় প্রশাসন ও সওজের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।