সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন প্রত্যাহার হবে না : ভারতীয় মন্ত্রী
ভারতের সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নাকভি বলেছেন, নাগরিকত্ব সংশোধন আইন কখনোই প্রত্যাহার করা হবে না। ক্ষমতাসীন বিজেপি মন্ত্রিসভার মুসলিম সদস্য নাকভি মুসলমান সম্প্রদায়কে আশ্বস্ত করে বলেন, তাদের নাগরিকত্ব কোনোভাবেই ঝুঁকিতে পড়বে না। গত শনিবার সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেছেন তিনি।
গত ১২ ডিসেম্বর ৫৫ বছরের পুরনো নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করে ভারত। এতে বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী তিন দেশ থেকে যাওয়া হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, পার্সি ও জৈন ধর্মাবলম্বীদের নাগরিকত্ব দেয়ার কথা বলা হয়েছে। আইনটিকে মুসলিমবিরোধী ও বৈষম্যমূলক আখ্যা দিয়ে ভারতজুড়ে চলছে তীব্র বিক্ষোভ। এসব বিক্ষোভে সহিংসতায় এখন পর্যন্ত অন্তত ২৫ জন নিহত হয়েছে। আটক হয়েছে হাজার হাজার মানুষ। ক্ষমতাসীন বিজেপির দাবি নতুন আইনটি নিয়ে বিরোধী দলগুলো গুজব ছড়িয়ে বিক্ষোভে উসকানি দিচ্ছে।
গত শনিবার ভারতের সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নাকভি সাংবাদিকদের বলেন, ‘যারা নিজেদের স্বার্থে বিভ্রান্তি ও ভয় ছড়াচ্ছে তাদের জানা উচিত নাগরিকত্ব সংশোধন আইন কখনোই প্রত্যাহার হবে না। একটি অন্তর্ভুক্তমূলক সমাজ গঠনে বিজেপি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ভারতের মুসলমানদের নাগরিকত্ব কোনোভাবেই ঝুঁকিতে পড়বে না’।
উত্তর প্রদেশের এলাহাবাদের রাজনীতিক মুখতার আব্বাস নাকভি বলেন, সংশোধিত আইনটির সাথে ভারতীয় নাগরিকদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তিনি বলেন, ‘পার্লামেন্টের ভেতরে-বাইরে বলা হয়েছে যে আইনটি ভারতের নাগরিকদের জন্য নয়। ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনে যে কেউই ভারতের নাগরিকত্ব পেত। বর্তমান সংশোধনীটি আলাদা। গত ৫-৬ বছরে ৫০০ ও বেশি মুসলমান নাগরিকত্ব পেয়েছে। এখনো যদি চায়, তা-ও পাবে। তারও ব্যবস্থা আছে’। ভারতের মুসলমানেরা অসহায় নয় জানিয়ে এই বিজেপি নেতা বলেন, তারা নিশ্চিন্তে বসবাস করছে।
জাতীয় নাগরিক তালিকা (এনআরসি) প্রণয়নে সরকার কোনো পদক্ষেপ নিয়েছে কি না জানতে চাইলে মুখতার আব্বাস নাকভি বলেন, এই বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তিনি বলেন ‘এনআরসি নিয়ে আমাদের দলের অবস্থান পরিষ্কার যে নাগরিকদের একটি তালিকা থাকবে তবে এখন পর্যন্ত এ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এনআরসি প্রক্রিয়া এখনো শুরু হয়নি আর এটি এগিয়ে নেয়ারও কোনো সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি’। আসামের এনআরসি তালিকার সাথে পুরো দেশের এনআরসির কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলেও জানান তিনি। সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।