শেখ হাসিনার চেয়ে দেশ প্রেমিক এদেশে আর নেই : পরিকল্পনামন্ত্রী

December 25 2019, 13:58

পরিকল্পনামন্ত্রী অধ্যাপক এমএ মান্নান বলেছেন, নতুন প্রজন্মের কাছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মডেল স্বরূপ। বর্তমান প্রজন্ম জ্ঞান বিজ্ঞানের শিক্ষায় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে নিজেরা যাতে যোগ্য নাগরিক হিসাবে গড়ে উঠতে পারে এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তার চেয়ে দেশ প্রেমিক এদেশে আর নেই। এদেশের একটি বিশেষ গোষ্ঠি শেখ হাসিনার উন্নয়ন কার্যক্রমকে ভালো চোখে দেখতে পারে না। তারা সব সময় বর্তমান সরকারের সমালোচনায় ব্যস্ত। প্রধানমন্ত্রী চান নতুন প্রজন্ম উপযুক্ত শিক্ষা লাভের মাধ্যমে আদর্শ নাগরিক হিসাবে নিজেদেরকে তৈরী করবে। রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্র, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী ট্যানেল সহ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বিদেশীরা গবেষণা করছে বাংলাদেশের মত একটি দেশ এত বৃহৎ প্রকল্প কিভাবে বাস্তবায়ন করছে। এইসব অত্যাধুনিক তথ্য প্রযুক্তি সমৃদ্ধ সেবা নতুন প্রজন্মের লোকেরাই বেশি ব্যবহারের সুযোগ পাবে বলে জানান তিনি।

বুধবার গোলাপগঞ্জ উপজেলার ভাদেশ্বর নাছির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের শতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এম.এ মান্নান আরো বলেন, একশ বছর পূর্বে নাছির উদ্দিন চৌধুরী যে বাতি জ্বালিয়েছিলেন তা আজও আলো ছড়াচ্ছে। নাছির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় বিগত শত বছরে অসংখ্য শিক্ষার্থীকে আলোকিত করে অত্র এলাকার পরিচিতি ও ভাবমূর্তিকে দেশে বিদেশে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে। আমাদের সবুজ শ্যামল প্রান্তর, সুজলা সুফলা, অপরূপ সৌন্দর্যের এ দেশকে ভালোবেসেই আমরা বেঁচে থাকতে হবে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেখে শিক্ষার্থীরা অনেক কিছু শেখার আছে, তিনি তোমাদের জন্য মডেল স্বরূপ। আমাদের সময়ে মডেল ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী, আত্মমর্যাদাশীল জাতি গঠনের অগ্রসৈনিক শেখ হাসিনা বর্তমান প্রজন্মের কাছে মডেল হিসাবে আছেন। আমাদের সন্তানেরা পড়ালেখা করে জ্ঞান বিজ্ঞানে তারা কিভাবে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করবে এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী সবসময় ভাবেন।

তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে করে আরো বলেন, আমাদের যা কিছু হচ্ছে তা অবশ্যই এ প্রজন্মের জন্য। বিদ্যুৎ আজ বাংলাদেশের সব জায়গাতেই পৌছে গেছে। বিদ্যুতের কারণে শহর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত আলোকিত হয়ে উঠছে। আমাদের মানসিকতাকে উন্নত করতে হবে কারণ, হাজার হাজার বছরের বিদেশী শাসনে আমাদের মন বাঁকা হয়ে গেছে। আমরা এ থেকে অবশ্যই সরে আসতে হবে। যারা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের বিষয়গুলো মেনে নিতে পারছেনা তাদের থেকে দূরে থাকার জন্য তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি আরো বলেন, আমরা বিভিন্ন জন বিভিন্ন দল ও মতের হতে পারি, দেশের মাটি ও মানুষের কল্যাণে কোন বিভেদ আমাদের মধ্যে থাকা ঠিক নয়। জাতির বৃহত্তর স্বার্থে আমরা দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

শতবর্ষ উদযাপন কমিটির সভাপতি শিল্পপতি মাছুম চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক তারেক জলিল, রিপন আহমদ ও জহির উদ্দিনের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় রাখেন সাবেক সংসদ সদস্য শরফ উদ্দিন খছরু, জালালাবাদ এসোসিয়েশন নিউইয়র্ক এর সাবেক সভাপতি আব্দুল বাছিত, সাবেক সচিব ও রাষ্ট্রদূত আ ফ ম ইয়াহইয়া চৌধুরী, অবঃ এয়ার কমোডর আলাউদ্দিন চৌধুরী, মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের উপ-সচিব শাফায়েত মাহবুব চৌধুরী, ভাদেশ^র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিলাল উদ্দিন, প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সভাপতি ময়নুল হক, অনুষ্ঠান বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য হেলাল উদ্দিন হেলু।

এসময় মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) রাশেদুল হক চৌধুরী, গোলাপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মামুনুর রহমান, বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও অনুষ্ঠান বাস্তবায়ন কমিটির সচিব সুনিল চন্দ্র দাস। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সময়ে সঞ্চালনায় মিডিয়া ব্যক্তিত্ব শিরিন আক্তার দিবা। আলোচনা সভা পরে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা স্মৃতিচারন মূলক বক্তব্য রাখেন। এছাড়া সন্ধ্যায় স্থানীয় ও বিভিন্ন স্থান থেকে আগত শিল্পিরা গান পরিবেশন করেন।  বৃহস্পতিবার একই স্থানে অনুষ্ঠানের ২য় দিনের কার্যক্রম শুরু হবে বলে আয়োজকরা জানান। এতে স্থানীয় এমপি সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদসহ অনেকেই উপস্থিত থাকবেন বলে জানা যায়।