শুরু হলো আঙ্গর মেলা
বই মেলায় কবিদের জীবনি ও স্মৃতিচারণ ম্যাগাজিন হিসেবে “আঙ্গর” ম্যাগাজিন প্রকাশ করছে মো: মকবুল হোসাইন। এবিষয়ে গতকাল লোগো উন্মোচন করা হয়। ‘আঙ্গর’ নামীয় সাহিত্য ম্যাগাজিনের লোগো উদ্ধোধন করেন কবি নির্মলেন্দু গুন। বইকে সবার হাতের নাগালের মধ্যে নিয়ে আসতেই এই উদ্ধোগ বলে জানিয়েছেন মকবুল হোসাইন।
কারণ সে বই কেউ পড়ে, কেউ পড়েনা। মেলায় গিয়ে একটি দুটি বই না কিনলে কেমন লাগে। তাছাড়া আজকের যুগে বই পড়তে ভালো লাগে না। তার পরিবর্তে মোবাইল, ইন্টারনেট-ল্যাপটপ তো রয়েছে। প্রকৃত বাস্তবতা হলো সেকালের মত একালে শিক্ষার্থীরা বই পড়তে চায়না। তথ্য ও প্রযুক্তির ব্যাপক প্রসারের যুগে বইয়ের পরিবর্তে ইন্টারনেট ফেসবুকে আসক্তি বাড়ছে। অথচ একুশে বই মেলার প্রধান উদ্দেশ্যই হচ্ছে নতুন প্রজন্ম বা পাঠক সমাজে বই পড়ার আগ্রহ সৃষ্টি করা।
উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বই হচ্ছে জ্ঞানের ভান্ডার। আমাদের দেশে প্রতিটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারি গ্রন্থাগারিক পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। “আঙ্গর” উদ্দেশ্য, শিক্ষার্থীদের পাঠ্য বই পড়ার পাশাপাশি অপাঠ্য বই পড়ার উৎসাহ তৈরি করা যাতে করে শিক্ষার্থীদের মেধা-মনন বৃদ্ধি পায়। কিন্তু অপ্রিয় হলেও সত্য যে, খুব কম সংখ্যক শিক্ষার্থী লাইব্রেরি থেকে বই নিয়ে পড়ে। অথচ বই পড়া বা সাহিত্যচর্চা ছাড়া যে জ্ঞানী হওয়া যায় না সেটা আজকের প্রজন্ম প্রায় ভুলেই গেছে।
বই মানুষের মনকে সহজ, সরল, সজাগ, শুভ্র করে, কালিমা মুুক্ত করে, পুত-পবিত্র করে, একজন মানুষকে সত্যিকার অর্থে সৎ, নিষ্ঠাবান ও আদর্শবান মানুষ হিসেবে গড়ে তোলে। কিন্তু অধিকাংশ শিক্ষার্থী, নতুন প্রজন্ম, শিক্ষিত ছেলে মেয়ে বই পড়ার পরিবর্তে ইন্টারনেট, ফেসবুক, সোস্যাল মিডিয়া তথা তথ্য প্রযুক্তির নানা দিক নিয়ে ব্যস্ত। যদিও প্রযুক্তি মানুষের কল্যাণ ও মঙ্গলের জন্য।
তথ্য প্রযুক্তির এ উৎকর্ষের যুগে নতুন প্রজন্ম জ্ঞানের দিকে, মঙ্গলের দিকে ধাবিত না হয়ে অকল্যাণের দিকে ঝুকছে যা কোনোভাবেই শোভনীয় নয়। মানুষের মনকে সুন্দর, মহৎ ও আলোকিত করতে বই মেলার কোনো বিকল্প নেই তেমনি বই পড়ারও।