শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবি কিন্ডারগার্টেন শিক্ষকদের
স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া ও আর্থিক সহায়তার দাবি জানিয়েছেন কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষকরা।
মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ঐক্য পরিষদ (বিকসকপ)।
লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের চেয়ারম্যান এম ইকবাল রাহার চৌধুরী বলেন, গত ১৬ মার্চ সরকার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করায় কোনো ধরনের প্রস্তুতি ছাড়াই কিন্ডারগার্টেনগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়। যা আজও বন্ধ। আর কতদিন বন্ধ থাকবে জানা নেই। করোনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা টিউশন ফি দিচ্ছে না। ফলে প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা তৈরি হয়েছে। কিছু প্রতিষ্ঠান বন্ধও হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের মাসিক টিউশন ফিয়ের ওপর নির্ভরশীল এবং ৯৯ শতাংশ ভাড়া বাড়িতে প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত। শিক্ষার্থীদের মাসিক টিউশন ফির ৪০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া, ৪০ শতাংশ শিক্ষক শিক্ষিকা, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন, বাকি ২০ শতাংশ গ্যাস বিল, বাণিজ্যিক হারে বিদ্যুৎ ও পানির বিলসহ অন্যান্য খরচ নির্বাহ না হওয়ায় অনেক প্রতিষ্ঠানে ভর্তুকি দিতে হয়।
এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে তিনি তাদের দাবি দুটি মেনে নেওয়ার আবেদন জানান।
সংগঠনের মহাসচিব মো. সাফায়েত হোসেন বলেন, অফিস থেকে শুরু করে বিনোদন পার্ক পর্যন্ত খোলা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা কেউ ঘরে বসে থাকছে না। শুধুমাত্র কিন্ডারগার্টেন বন্ধ থাকায় আমরা মানবেতর জীবন-যাপন করছি।