লোক দেখানো মানববন্ধনে বেগম জিয়ার মুক্তি হবে না : শওকত মাহমুদ

October 19 2019, 20:41

লোক দেখানো মানবন্ধনে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ। শনিবার বিকেলে আগ্রাসী শক্তির বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর শহীদ আবরার ফাহাদ এবং সকল নির্যাতনের বিরুদ্ধে সুপ্রিমকোর্ট মিলনায়তনে বাংলাদেশ নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের উদ্দ্যোগে এক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

শওকত মাহমুদ বলেন, লোক দেখানো আন্দোলন আর মানববন্ধন করে বেগম জিয়ার মুক্তি হবে না। আপনারা বক্তব্যে বলছেন খালেদা জিয়াকে হত্যার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না করে আন্দোলন করা হবে বলে সময়ক্ষেপণ করা হচ্ছে কেনো? আপনারা যদি কিছু করতে না পারেন আল্লাহর রস্তে এসব বক্তব্যে দিবেন না।

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশ নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের আহ্বায়ক বেগম সেলিমা রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরো উপস্থিত আছেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট খন্দকার মাহাবুব হোসেন, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, নিতাই চন্দ্র রায়, এডভোকেট জয়নুল আবেদিন, ডা. এ জেড এম জাহিদ, অধ্যাপক আসিফ নজরুল, যুগ্ন মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।

শওকত মাহমুদ বলেন, আমি কয়েকটা দিন আবরারের জায়গায় নিজেকে চিন্তা করে আমি আবরারের হয়ে তাদেরকে প্রশ্ন করেছি ভাই আমাকে কেন মারছেন? খুনিরা তাকে ৬ ঘন্টা নির্মম নির্যাতন করে হত্যা করেছে। ১৬৪ দ্বারা স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দীতে আসামিরা কি নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছে, তার বর্ননা দিচ্ছে। কিন্তু ৬ ঘন্টা যখন আবরারকে স্টাম্প দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে তখন তাদের মধ্যে কি কথা হয়েছে তা আমরা জানতে পারিনি।

সেমিনারে বিএনপির যুগ্ন মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহাবুব উদ্দিন খোকন বলেন, গত ১১ বছরে বেকার যুবকদের ব্যস্ত রাখার জন্য সরকার বিদেশ থেকে ইয়াবা আনার ব্যবস্থা করেছে। দেশে যখন চরম পরিস্থিতি বিরাজমান তখন সরকার দলীয় নেতারা ক্যাসিনো খেলা নিয়ে ব্যস্ত। তিনি বলেন, দেশে নারী ও শিশু নির্যাতনের হার এতো বৃদ্ধি পাওয়ার পরও প্রধানমন্ত্রী একজন নারী হয়েও কিছু করতে পারছে না। এটা প্রধানমন্ত্রীর অক্ষমতা।