লিবিয়াগামী জাহাজে জার্মানির তল্লাশি, ক্ষুব্ধ তুরস্ক
লিবিয়াগামী তুরস্কের একটি পণ্যবাহী জাহাজে তল্লাশি করলো জার্মানি। সেই জাহাজে অস্ত্র আছে কি না, সেটাই খুঁজে দেখেছে তারা। জাতিসংঘ লিবিয়ায় অস্ত্র পাঠানো নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। অস্ত্র যাতে না পাঠানো হয়, সে জন্য চালু আছে ইইউ-র ইরিনি মিশন। জার্মানির দাবি, তাই তারা জাহাজে অস্ত্রের খোঁজ করেছে। খবর ডয়চে ভেলের।
তুরস্কের পররষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ‘জার্মানি যা করেছে, তা পুরোপুরি বেআইনি। এভাবে তল্লাশি চালানোর কোনো অধিকার তাদের নেই। জোর করে তারা এই তল্লাশি চালিয়েছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ করছি।’ আঙ্কারায় জার্মানি, ইইউ ও ইটালির রাষ্ট্রদূতকে ডেকে এই ‘বেআইনি কাজের’ নিন্দা করেছে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
জার্মানির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তুরস্কের জাহাজের নাম হলো রোসালিন এ। জার্মান হেলিকপ্টার থেকে জাহাজে তল্লাশির বার্তা পাঠানো হয়। জাহাজ থেকে কোনো জবাব আসেনি। তারপর হেলিকপ্টার থেকে নেমে তল্লাশি চালানো হয়। তবে রোমের ইরিনি মিশন কম্যান্ড থেকে এই তল্লাশির নির্দেশ দেয়া হয়। তুরস্ক অবশ্য বার্তা পাঠায়, তারা তল্লাশির অনুমতি দিচ্ছে না। তখন তল্লাশি থামিয়ে দেয়া হয়। যেটুকু তল্লাশি অভিযান চলেছে, তাতে কোনো অস্ত্রের সন্ধান মেলেনি। তল্লাশিতে জাহাজের নাবিকরাও সহযোগিতা করেছেন।
লিবিয়ায় ২০১১ সালে গদ্দাফির শাসনের অবসানের পরেই জাতিসংঘ অস্ত্র পাঠানোর ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। লিবিয়ায় এখন জাতিসংঘের স্বীকৃত ত্রিপোলি সরকারের সেনার সঙ্গে খালিফা হাফতারের বাহিনীর লড়াই চলছে। হাফতারকে সমর্থন করে রাশিয়া, মিশর, জর্ডন ও আমিরাত। তুরস্ক আছে ত্রিপোলি সরকারের পক্ষে। তারা আগে সেনা ও অস্ত্র পাঠিয়েছে। এমনকী জার্মানি ইরিনি মিশনে যোগ দেয়ায় তুরস্কের অভিযোগ ছিল, তারা একেবারেই নিরপেক্ষ নয়। তাদের দাবি, এই অস্ত্র নিষেধাজ্ঞায় হাফতারের লাভ হচ্ছে।