রিমান্ড শেষে কারাগারে সংগ্রাম সম্পাদক আবুল আসাদ
দৈনিক সংগ্রামের সম্পাদক আবুল আসাদকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার ঢাকার সিএমএম আদালত-১১’র বিচারক বাকী বিল্লাহ এ আদেশ দেন।
হাতিরঝিল থানায় দায়ের করা এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তিন দিনের রিমান্ড শেষে আজ নতুনভাবে রিমান্ড না চেয়ে কারাগারে আটক রাখার জন্য আবেদন করেন। আসামি পক্ষে আইনজীবী আব্দুর রাজ্জাক জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক উপরোক্ত নির্দেশ দেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী আদালতকে বলেন, প্রিন্টিং মিডিয়ার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা একত্রে চলে না। সেকারণে তাকে জামিন দেয়া প্রয়োজন।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানীতে অংশ নেন মো: হেমায়েত উদ্দিন খান হিরন।
আসামিপক্ষে আরো ছিলেন, অ্যাডভোকেট শিশির মো: মনির, অ্যাডভোকেট লুৎফর রহমান আযাদ, অ্যাডভোকেট আবু বকর সিদ্দিক, অ্যাডভোকেট আজিম উদ্দিন শিমুল, অ্যাডভোকেট রোকন রেজা শেখ, অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া, অ্যাডভোকেট ফিরোজ আহমেদ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ড কার্যকর হওয়া কাদের মোল্লাকে ‘শহীদ’ উল্লেখ করে সংবাদ প্রকাশের জেরে ১৪ ডিসেম্বর দায়েরকৃত মামলায় আবুল আসাদকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করে তিন দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। আজ রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোহাম্মদ আফজাল বাদী হয়ে রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় মামলাটি (মামলা নং-২৪) করেন।
দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকায় ১২ ডিসেম্বর এ সংক্রান্ত খবরটি প্রকাশিত হলে এর প্রতিবাদে ১৩ ডিসেম্বর বিকাল থেকে দৈনিক সংগ্রামের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয় কিছু যুবক। পরে তারা কার্যালয়ে ঢুকে ব্যাপক ভাংচুর চালায় ও সম্পাদককে লাঞ্ছিত করে। এ অবস্থায় সন্ধ্যা ৭টার দিকে সংগ্রামের কার্যালয় থেকে সম্পাদক আবুল আসাদকে হেফাজতে নেয় হাতিরঝিল থানা পুলিশ।