রিফাত হত্যা : আরো পাঁচজনের সাক্ষ্য ও জেরা
বরগুনার বহুল আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় পৃথক আদালতে আরো পাঁচজনের সাক্ষ্য ও জেরা হয়েছে। বুধবার জেলা ও দায়রা জজ মো: আছাদুজ্জামান এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো: হাফিজুর রহমানের আদালতের তাদের সাক্ষ্য ও জেরা রেকর্ড হয়।
বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ভুবন চন্দ্র হাওলাদার বলেন, জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মো: মোস্তফা আলম, জামাল মোল্লা ও খোকন আকন ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে নুরুল ইসলাম ও চটপটির দোকানদার বাবুল হাওলাদার সাক্ষ্য দেন। পরে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা তাদের জেরা করেন। এ হত্যাকান্ডে এখন পর্যন্ত আদালতের ৬৮জনের সাক্ষ্য ও জেরা রেকর্ড করা হয়েছে। এদের মধ্যে জেলা ও দায়রা আদালতে ৪৭ জন ও শিশু আদালতে ২১ জনের সাক্ষ্য জেরা সমাপ্ত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এদিন আদালতে রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ৯ জন আসামী জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ও শিশু আদালতে ১৪ জন উপস্থিত ছিল।
আদালতে সাক্ষ্য দেয়ার পরে কোর্ট প্রাঙ্গণে মোস্তফা আলম নয়াদিগন্তকে বলেন, রিফাত শরীফ আমার আপন ভাগিনা। ঘটনার দিন ২৬ জুন আমি খবর পেয়ে বরিশাল মেডিক্যালে যাই বিকাল ৩ টার সময়। তখনও রিফাত জীবিত ছিল। ওইদিন বিকাল সাড়ে ৩ টায় রিফাত মারা যায়। সন্ধ্যা অনুমান ৭ টায় বরিশাল কোতয়ালী থানার পুলিশ রিফাত শরীফের লাশের সুরাতহাল রিপোর্ট তৈরী করেন। পুলিশ আমাকে লাশটি দেখার জন্য বলে। রিফাতের শরীরে অসংখ্য কোপের চিহ্ন দেখতে পাই। মাথার তালুর ডান পাশে, বাম বাহুতে, বাম হাতের বৃদ্ধা আঙ্গুলে, ডান হাতের পিঠে, বাম কপালে, গালের ডান পাশে, বুকের ডান পাশে কোপের ক্ষত-বিক্ষত আলামত দেখতে পাই।
আরো জামাল মোল্লা বলেন, ঘটনার দিন আমি ঘটনাস্থলে চটপটি বিক্রি করতে ছিলাম। আমার দোকান থেকে প্রথমে নয়ন বন্ড ষ্টীলের চামচ দিয়ে রিফাত শরীফকে মারতে শুরু করে। পরে আসামীরা কোপায়।
সাক্ষী নুরুল ইসলাম বলেন, আমি ১২ বছর সৌদি আরব ছিলাম। কোন মিথ্যা কথা আদালতে বলিনি। ঘটনার দিন ২৬ জুন আমি কলেজ রোডে আমার মক্কা মদিনা লাইব্রেরীতে ছিলাম। আমি দেখেছি কিছু কয়েকজন একটি ছেলেকে দা দিয়ে কোপাতে। ছেলেটি আমার দোকানের সামনে এসে দাঁড়ায়। তখন তার শরীর থেকে প্রচুর রক্ত পড়ে। ছেলেটিকে কোন রিকশায় নিতে চায় না। আমি একটি রিকশায় উঠে যেতে বলি। পরে শুনেছি রিফাত শরীফকে নয়ন বন্ড, রিফাত ফারজি ও রিশান ফরাজিরা কোপাইছে।
আসামী মিন্নির আইনজীবী মাহবুবুল বারী আসলাম বলেন, যারা সাক্ষ্য দিয়েছেন। তারা কেউ রিফাত শরীফকে কোপাতে দেখেনি। মিন্নি জড়িত ছিল সেই মর্মে কেউ সাক্ষ্য দেয়নি।