রিফাত হত্যা : আদালতে আরো ৫ সাক্ষীর জেরা সমাপ্ত
বরগুনার বহুল আলোচিত শাহনেওয়াজ রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় ছয়দিন বিরতির পর আরো ৫ জন সাক্ষীর জেরা সমাপ্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত শিশু আদালতে ৬০ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। রিফাত শরীফের শরীরে অসংখ্য কোপের লোমর্হষক বর্ণনা দিয়েছেন একজন সাক্ষ্য। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বরগুনার শিশু ও জেলা জজ আদালতের বিচারক মো: হাফিজুর রহমানের আদালতে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার মো: রাশেদুল ইসলাম, বরগুনা থানার এসআই কাজী ওবায়দুল কবির, এএসআই ইন্দ্রজিৎ কুমার, কনস্টেবল মোবারক করিম ও কনস্টেবল কামরুল হাচান সাক্ষ্য দেন। এসময় হাজতে থাকা ৭ শিশু আসামি ও জামিনে থাকা ৭ শিশু আসামিসহ মোট ১৪ জন শিশু আসামি আদালতে উপস্থিত ছিল।
মঙ্গলবার আদালতে সাক্ষ্য দেয়ার পর বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার মো: রাশেদুল ইসলাম বলেন, আমি গত ২৬ জুন বিকেলে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডিউটিতে ছিলাম। রিফাত শরীফ নিহত হবার পর সন্ধ্যায় বরিশাল থানার এসআই সহিদুল ইসলাম লাশের সুরাতহাল করেন। তখন আমি সেখানে ছিলাম। নিহত রিফাত শরীফের শরীরে অসংখ্য ধারলো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন দেখেছি। সেই ক্ষত ও আঘাতের চিহ্নগুলো দেখার মত নয়। ক্ষত-বিক্ষত ছিল রিফাতের শরীর। হাতে মাথায় ঘাড়ে বড় বড় আঘাতের চিহ্ন ছিল। তাকে জেরা করেন, আসামি রিশান ফরাজীর আইনজীবী সোহরাফ হোসেন মামুন।
বরগুনা থানার এসআই কাজী ওবায়দুল কবির দৈনিক নয়াদিগন্তকে বলেন, রিফাত শরীফকে বগি দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছিল আসামিরা। সেই বগি দা তদন্তকারী কর্মকর্তা উদ্ধার করে আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে এবং সনাক্ত করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ পিপি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শিশু আদালতে এ পর্যন্ত ৬০ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। সাক্ষ্যরা যখন সাক্ষ্য দেয় তখন ১৪ জন শিশু আসামির সবাই আদালতে উপস্থিত ছিল।