রায়হান হত্যা: কনস্টেবল টিটু জেল হাজতে

October 28 2020, 11:28

সিলেটের বন্দর বাজার পুলিশ ফাঁড়িতে রায়হান আহমদের মৃত্যুর মামলায় কনস্টেবল (সাময়িক বরখাস্ত) টিটু চন্দ্র দাসকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

প্রথম দফায় ৫ দিন এবং দ্বিতীয় দফায় ৩ দিনের রিমান্ড শেষে বুধবার (২৮ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে টিটু চন্দ্র দাসকে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে সিলেটের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি-প্রসিকিউশন) অমূল্য কুমার চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আলোচিত এ মামলায় ওই ফাঁড়ির কনস্টেবল (সাময়িক বরখাস্ত) হারুন রশীদ ৫ দিনের রিমান্ডে আছেন। বৃহস্পতিবার তার রিমান্ড শেষ হবে। এদিন দুপুরে তাকেও আদালতে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক মুহিদুল ইসলাম।

উল্লেখ্য, গত ১১ অক্টোবর (রোববার) ভোরে বন্দর বাজার পুলিশ ফাঁড়িতে রায়হানের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় কোতোয়ালি মডেল থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন নিহতের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার। ওই ফাঁড়ির ইনচার্জসহ চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত এবং তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়। মামলাটি তদন্ত করছে পিবিআই।

সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পুলিশ সদস‌্যরা হলেন—ফাঁড়ি ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) তৌহিদ মিয়া, কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাশ ও হারুনুর রশীদ। প্রত্যাহার করা হয়েছে সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আশীক এলাহী, এএসআই কুতুব আলী ও কনস্টেবল সজীব হোসেনকে।

এছাড়া, আকবর হোসেনকে পালাতে সহযোগিতা এবং তথ্য গোপনের অভিযোগ গত বুধবার (২০ অক্টোবর) ফাঁড়ির এসআই হাসান উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

এখন পর্যন্ত এসআই আকবর পলাতক আছেন। গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে দুজনকে। অন্যরা পুলিশের হেফাজতে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইনে আছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।