রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আইন: মত দিতে আরও সময় চায় আ.লীগ
রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন আইন প্রণয়নের প্রস্তাবে মতামত দিতে নির্বাচন কমিশনের কাছে আরও এক মাসের সময় চেয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
দলটি বলছে, প্যানডেমিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এ ধরনের একটি মৌলিক আইনের খসড়ার ওপর মতামত দেওয়ার জন্য স্টেক হোল্ডারদের মাত্র ১৫ দিনের সময় দেওয়া হয়েছে, যা একেবারে অপ্রতুল।
মঙ্গলবার (৭ জুলাই) দলের পক্ষে দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে সময় বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট যে সব আইন রয়েছে তার মৌলিক বিধানাবলী অক্ষুণ্ণ রেখে ইংরেজির পরিবর্তে বাংলা ভাষায় প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এর অংশ হিসেবে রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন সম্পর্কিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর বিধানাবলী ওই আইনে না রেখে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আইন, ২০২০ নামে আলাদা আইন প্রণয়নের প্রস্তাব করা হয়েছে।
‘কমিশন থেকে ওই আইনের ওপর মতামত দেওয়ার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে ১৫ দিনের সময় দেওয়া হয়। আওয়ামী লীগ মনে করে, এ আইনের ওপর মতামতের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দলীয় মতামতের বিষয়টি চূড়ান্ত করতে দলের অভ্যন্তরে একাধিক ফোরামে এ বিষয়ে আলাপ-আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। আমরা মনে করি, এ খসড়ার ওপর মতামত দেওয়ার সময়সীমা আরও এক মাস বাড়ানো প্রয়োজন।
আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমাদের দলের পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধি দল গিয়ে এ বিষয়ে মতামত দেবেন। দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরামর্শে দলের বিজ্ঞ নেতারা আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে আমরা যথাযোগ্য প্রতিনিধি দলের মাধ্যমে মতামত দেবো।
রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন আইন-২০২০’র খসড়া নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছ। সেখানে বাংলাদেশের প্রতিটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সব স্তরের কমিটিতে ন্যূনতম ৩৩ শতাংশ নারী সদস্য রাখার যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে, নির্বাচন কমিশন তার সময়সীমা তুলে দেওয়া প্রস্তাব করেছে। এছাড়া, পূর্ববর্তী যেকোনো দুটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে কোনো নতুন দলের জন্য নিবন্ধন পাওয়া সম্ভব হবে না- এমন প্রস্তাব রাখা হয়েছে খসড়ায়।
নির্বাচন কমিশন প্রণীত খসড়া ‘রাজনৈতিক দলসমূহের নিবন্ধন আইন ২০২০’ দেশের নিবন্ধিত দলগুলোর কাছে পাঠিয়ে এ বিষয়ে তাদের মতামত দিতে বলেছে ইসি। দলগুলোকে আগামী ৭ জুলাইয়ের মধ্যে তাদের মতামত নির্বাচন কমিশন সচিবের ই-মেইলে পাঠাতে বলা হয়েছে।