রাজধানীতে বামজোটের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ, আহত ১৪

December 30 2019, 13:56

রাজধানীর মৎস্যভবন এলাকায় বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রায় পুলিশ বাধা দিলে দুপুর পৌনে একটার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জোটের ১৪ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে ঘটনাস্থলে পুলিশের লাঠিচার্জের শিকার হয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি। এছাড়া মৎস্যভবন এলাকা থেকে বাম গণতান্ত্রিক জোটের ৫ জনকে আটক করা হয়েছে।

জানা যায়, একাদশ সংসদ নির্বাচনের দিনটিকে (৩০ ডিসেম্বর) ‘কালো দিবস’ হিসেবে পালনের অংশ হিসেবে প্রথম বর্ষপূর্তিতে সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সমাবেশের পর বেলা সাড়ে ১২টার দিকে কালো পতাকা মিছিল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে রওনা হন জোটের নেতা-কর্মীরা। পথে কদম ফোয়ারার সামনে পুলিশের দেওয়া ব্যারিকডে ভেঙে তারা এগিয়ে যান। বেলা ১টার দিকে মৎস্য ভবনের সামনে আবার বাধার মুখে পড়েন বাম জোটের নেতা-কর্মীরা। তারা সেখানকার ব্যারিকেড ভেঙে এগোতে চাইলে উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়।

একপর্যায়ে মিছিল থেকে ইঁটপাটকেল ছুড়ে মারার অভিযোগ করে পুলিশ সদস্যরা বাম জোটের নেতা-কর্মীদের লাঠিপেটা করে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেন। এতে বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হন। এসময় মৎস ভবন মোড় থেকে প্রেসক্লাবের দিকে যান চলাচল প্রায় ২০ মিনিট বন্ধ থাকে।

রমনা থানার ওসি মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন,‘আমরা চার-পাঁচ জনকে আটক করেছি। ভিডিও ফুটেজ দেখে আমরা ব্যবস্থা নেব।’

এদিকে সংঘর্ষে পুলিশের দুই সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার সাজ্জাদুর রহমান। আহত দুই পুলিশ সদস্যকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি জানান, মৎস্য ভবন এলাকায় বাম জোট কর্মীদের থামাতে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে রাখে। ব্যারিকেড ভেঙে নেতাকর্মীরা এগোতে চাইলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়। এ সময় বাম নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা চালায় বলে দাবি করেন তিনি।

এদিকে পুলিশের হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ ডেকেছে গণতান্ত্রিক বাম জোট।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে এ দিনটিকে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করছে বামজোট। এরই অংশ হিসেবে গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টিসহ বাম জোটভুক্ত দলগুলোর নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও করতে যাচ্ছিলেন।