রমনা পার্ক এলাকায় মসজিদ ছাড়া নকশাবহির্ভূত সব স্থাপনা ভেঙে ফেলার সুপারিশ
রাজধানীর রমনা পার্ক এলাকায় মসজিদ ছাড়া নকশাবহির্ভূত সব স্থাপনা, জরাজীর্ণ ভবন ভেঙে ফেলার সুপারিশ করেছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। সেইসঙ্গে পার্কের রেস্টুরেন্টটি ভেঙে সেখানে কফিশপ করার সুপারিশ করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে কমিটির সভায় এই সুপারিশ করা হয়।
কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, মো. জিল্লুল হাকিম, মো. মনোয়ার হোসেন চৌধুরী, আনোয়ারুল আশরাফ খান ও জোহরা আলাউদ্দিন অংশ নেন। কমিটি নকশা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সাথে বৈঠক করে দ্রুত বাস্তবায়ন ও শিশু পার্কের আধুনিকায়ন কাজ শেষ করার তাগিদ দিয়েছে।
এর আগের বৈঠকে কমিটি রমনা পার্কের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার প্রকল্পের কাজে ধীরগতিতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল বলে সূত্র জানিয়েছে।
গত সেপ্টেম্বরের বৈঠকে কমিটির সভাপতি মোশাররফ হোসেন বলেছিলেন, পার্ক এলাকায় একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্ট ও পার্টি সেন্টার থাকায় সেখানকার পরিবেশ প্রতিনিয়ত কলুষিত হচ্ছে। পৃথিবীর কোথাও বড় পার্কগুলোতে রেস্টুরেন্ট নেই। ওই বৈঠকে গণপূর্ত বিভাগের প্রধান প্রকৌশলীকে উন্মুক্ত কফি শপ নির্মাণের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রমনা পার্কের অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য ২০১৮ সালে প্রায় ৪৮ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে এর কাজ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু গত জুন মাস পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি হয় ১৫ শতাংশ।
সংষদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আজ বৈঠকে কমিটি কর্তৃক ঢাকার মিরপুরে আবাসিক ফ্ল্যাট ‘স্বপ্ননগর আবাসিক প্রকল্প ১’ ও ‘স্বপ্ননগর আবাসিক প্রকল্প ২’ এবং উত্তরার ৩য় ফেজে ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন এবং মিরপুরে বস্তিবাসীদের জন্য ভাড়াভিত্তিক নতুন প্রকল্প গ্রহণের সুপারিশ করে।
বৈঠকে রাজশাহীর আরডিএ মার্কেট ভেঙে নতুন করে নির্মাণের জন্য সিটি করপোরেশনের সাথে বৈঠক করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। এছাড়া গুলশান-বনানী-বারিধারা লেক উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় কমানোর জন্য বিশেষজ্ঞদের সাথে বৈঠক করার সুপারিশ করেছে কমিটি।