যুব সমাজের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ইউএনডিপির সহায়তা চাইলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বাংলাদেশের শিক্ষিত যুব সমাজের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ইউএনডিপির সহায়তা চেয়েছেন।
আজ রাজধানীর একটি হোটেলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন উপলক্ষে ইউএনডিপি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতাকালে তিনি এ সহায়তা চান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশের ৪৯ শতাংশ মানুষের বয়স ২৫ বছরের নিচে। মোট জনগোষ্ঠীর ৭০ ভাগ যুবক। এই জনগোষ্ঠীকে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সরকার দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করতে চায়, যাতে তারা দেশে ও বিদেশে কাজ করতে পারে। তাছাড়া তারা যেন চাকুরি খোঁজার পরিবর্তে উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে। বাংলাদেশে প্রায় ছয় লাখ আইটি ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করছে। এখন সারা পৃথিবী তাদের কর্মক্ষেত্র এবং তারা নিজের ঘরে বসেই তা করতে পারে।
ড. মোমেন বলেন, উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও সংস্থাগুলো বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশের জন্য প্রতি বছর ব্যয় করে প্রায় ১৫৬ বিলিয়ন ডলার, এলডিসিভূক্ত ৪৮টি দেশের জন্য ব্যয় করে প্রায় ৩৮ বিলিয়ন ডলার, যা এসডিজি’ অর্জনে প্রয়োজনের তুলনায় প্রায় শতকরা ৮ ভাগ। একারণে এসডিজি’র লক্ষ্য অর্জনে বেসরকারি খাত, এনজিওসহ দেশী-বিদেশী অংশীদারিত্ব চায় সরকার।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় ৪৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের জিডিপি সর্বোচ্চ, যা বর্তমানে ৮ দশমিক ১৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, যুবক বঙ্গবন্ধু ভাষা আন্দোলনের শুরুতে পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। ঠিক ৫১ বছর পরে ১৯৯৯ সালে বাংলাকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউএনডিপির ইউএন বাংলা ফ্রন্টেরও উদ্বোধন করেন। তিনি বাংলায় প্রকাশিত ‘মানব উন্নয়ন প্রতিবেদন ২০১৯’ এর মোড়ক উন্মোচন করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেব বক্তৃতা করেন জাতিসংঘের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কান্নি উইনারাজা।