যুবলীগের সাঈদ এখন আর কাউন্সিলর নন
ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত ফকিরাপুল-মতিঝিল এলাকার এ কে এম মমিনুল হক সাঈদকে কাউন্সিলর পদ থেকে অপসারণ করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাঈদ যুবলীগের ঢাকা দক্ষিণের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে আছেন।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর ফকিরাপুলের ক্রীড়া ক্লাবগুলোতে র্যাবের অভিযানে ক্যাসিনো চালানোর বিষয়টি ধরা পড়লে তার নাম আলোচনায় আসে।
প্রথমেই যুবলীগের ঢাকা দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার ফকিরাপুলের ইয়ংমেনস ক্লাবে যায় র্যাব। সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা, মদ, বিয়ার ও নগদ ২৪ লাখ টাকা জব্দ করা হয়। পাশাপাশি ১৪২ জনকে আটকে সাজা দেয় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এরপর পাশের ওয়ান্ডারার্স ক্লাবে র্যাবের অভিযানে নগদ ২০ লাখ ২৭ হাজার টাকা, জুয়ার সরঞ্জাম, ২০ হাজার ৫০০ টাকার জাল নোট, বিপুল পরিমাণ মদ ও মাদক জব্দ করা হয়।
ওই দিন অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম বলেছিলেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো. কাওসারের সঙ্গে ওই এলাকার ওয়ার্ড কাউন্সিলর মমিনুল হক সাইদ এই ক্লাবটি চালাতেন। এছাড়া আরামবাগ ক্রীড়া সংঘেরও পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান কাউন্সিলর সাঈদ। এই ক্লাবেও ক্যাসিনোর সরঞ্জাম পাওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
অবৈধভাবে ক্যাসিনো পরিচালনায় এরইমধ্যে যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ও সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যুবলীগের পদ থেকেও তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে।
এই সময়ে কাউন্সিলর সাঈদের নামও আলোচনায় এলেও তিনি আগেই দেশের বাইরে গিয়েছেন বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়। তাকে অপসারণের কারণ হিসেবেও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া বিদেশ যাওয়া ও সেখানে অবস্থানের কথা বলা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়, যুক্তিসঙ্গত কারণ দেখানো ছাড়াই সিটি করপোরেশনের ১৮টি সভার মধ্যে ১৩টিতে অনুপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর সাঈদ। এর মধ্যে এক নাগাড়ে তিনটি, চারটি ও ছয়টি সভায় ছিলেন না তিনি।
নোটিশের জবাবে কারণ দর্শালেও সেখানে যৌক্তিক প্রমাণ উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। পরে সরকারের নিয়োগকৃত তদন্ত কর্মকর্তার প্রতিবেদনে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় কাউন্সিলর পদ থেকে সাঈদকে অপসারণের কথা জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।