যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনীকে তালেবানদের সতর্কতা

February 14 2021, 05:19

যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনীকে সতর্ক করেছে আফগানিস্তানের তালেবানরা। মে মাসের পরে তাদেরকে আফগানিস্তানের তাদের দখলদারিত্ব বৃদ্ধি না করতে এই সতর্কতা দিয়েছে তালেবানরা। শনিবার তারা এ বিষয়ে বিস্তারিত একটি বিবৃতি দিয়েছে। তবে ২০২০ সালের ২৯ শে জানুয়ারি কাতারের রাজধানী দোহা চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ তারা জোর দিয়ে অস্বীকার করেছে। এ খবর দিয়েছে পাকিস্তানের অনলাইন এক্সপ্রেস ট্রিবিউন। ওদিকে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে যে, যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো বাহিনী আফগানিস্তানে অবস্থান দীর্ঘায়িত করবে। এর প্রেক্ষিতে তালেবানরা বেশ কিছু পদক্ষেপকে সামনে এনেছে। তারা দোহা চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য এসব পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে।

আফগানিস্তানের ভবিষ্যত পরিকল্পনা কি হবে তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র তার পরিকল্পনা উপস্থাপন করার কথা রয়েছে ন্যাটোর প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের বৈঠকে। তার কয়েকদিন আগেই তালেবানরা ওই বিবৃতি দিয়েছে। এর আগে ন্যাটো কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, দোহা চুক্তির অধীনে আফগানিস্তান থেকে সব আন্তর্জাতিক বাহিনীকে প্রত্যাহার করতে সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছিল ১লা মে। কিন্তু সেই সময়ের মধ্যে সব বিদেশি সেনা আফগানিস্তান নাও ছাড়তে পারে। একইভাবে বাইডেন প্রশাসনও তালেবান-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তি পর্যালোচনা করছে। এরই মধ্যে তাদের তরফে এ বিষয়ে মিশ্র ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসন বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহার হবে শর্তসাপেক্ষে। একই সঙ্গে তালেবানদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, তারা চুক্তি মেনে চলছে না। ওদিকে আফগানিস্তান সরকারও তালেবানদের বিরুদ্ধে একই রকম অভিযোগ তুলে তাদেরকে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে সহিংসতা বৃদ্ধির জন্য দায়ী করছে।

এসব অভিযোগের জবাবে দোহা’য় তালেবান অফিস থেকে দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ১৮ মাসের বা দেড় বছরের আলোচনা ও দরকষাকষির পর দোহা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ইসলামিক আমিরাত (আফগান তালেবান) এই চুক্তি বাস্তবায়নে গুরুত্বর প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর প্রেক্ষিতে তারা কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে। অন্য পক্ষকেও এই চুক্তির শর্তগুলো মেনে চলতে আহ্বান জানায়। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, গত এক বছরেরও বেশি সময়ে আফগানিস্তানে কোনো বিদেশি সেনাকে হত্যা করা হয়নি। এর মধ্য দিয়ে ইসলামিক আমিরাত তার শর্ত মেনে চলেছে। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী আফগানিস্তানে আমেরিকার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ব্যবস্থা নেয়া হয়নি তাদের কোনো মিত্রের বিরুদ্ধে। শর্ত অনুযায়ী যুদ্ধবিরতি চলছে।