মাস্ক পরে কি করোনা ভাইরাস ঠেকানো যায়?
করোনা ভাইরাস আতঙ্কে এখন বিশ্ব কাঁপছে। চীন থেকে শুরু করে গোটা বিশ্ব আতঙ্ক ছড়াচ্ছে করোনা ভাইরাস। চীন ছাড়াও আরো ১২টি দেশে ছড়িয়েছে এই ভাইরাস। এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৩০৪ জনের। আক্রান্ত ১৪ হাজার ৬০০ জনের বেশি। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্ত কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে প্রতিবেশী ভারতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত চিহ্নিত করা গিয়েছে। এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই চিন্তিত গোটা বিশ্ব। আরও
রো বেশি চিন্তার কারণ হলো, করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচার উপায় এখনো মেলেনি। তবে ওষুধ দ্রুত আবিষ্কার হয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার প্রধান লক্ষণগুলো হলো – শ্বাসকষ্ট, জ্বর, কাশি, নিউমোনিয়া ইত্যাদি। এটি শরীরের এক বা একাধিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিষ্ক্রিয় করে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু ঘটাতে পারে।
এ দিকে করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে বিজ্ঞানীরা এখন পর্যন্ত তেমন কোনো আশার আলো দেখাতে পারেননি। তবে বিজ্ঞানীরা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষার উপায় হিসেবে মাস্কে মুখ-নাক ঢেকে বেরোনোর পরামর্শ দিচ্ছেন।
তবে কী ভাবে মাস্ক ব্যবহার করে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব জেনে নিন…
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি সঠিক আবহাওয়া ও সঠিক উপায়ে মাস্ক ব্যবহার করা হয়, এই ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া ঠেকানোর ক্ষেত্রে তা কার্যকর হতে পারে।
তবে চীন ছাড়া এখন পর্যন্ত অন্য কোন দেশে মাস্ক ব্যবহারের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
দেখে নিন বিশেষজ্ঞদের মতে কোন ধরনের মাস্ক পরবেন :
জর্জিয়ার আটলান্টার ইমোরি ইউনির্ভাসিটি স্কুল অব মেডিসিনের সহকারী প্রভাষক মেরিবেথ সেক্সটন জানান, সর্বাধিক পরিহিত, সস্তা এবং ডিসপোজেবল মাস্ক, যা সার্জিক্যাল মাস্ক হিসেবে পরিচিত, এটি করোনাভাইরাসকে আটকাতে পারে, তবে নির্মূল করতে পারে না।
এ ধরনের সার্জিক্যাল মাস্ক সাধারণত হলুদ বা নীল রংয়ের হয়ে থাকে যা রাবারের মাধ্যমে শক্তভাবে কানের মধ্যে আটকানো যায়। এর মাধ্যমে মুখ, চিবুক ও নাক ঢাকা সম্ভব হয়। আর এসব মাস্কের ওপরে একটি লোহার স্ট্রিপ থাকে যা সহজে মুখ-নাক ঢেকে রাখে।
তবে বিশেষজ্ঞরা মাস্ক পরার পাশাপাশি সেটি খোলার বিষয়েও সমান গুরুত্ব দিয়েছেন। মাস্ক খোলার সময় খেয়াল রাখা উচিত যেন এতে কোনো ময়লা না লাগে এবং একবারে খোলা যায়।
সূত্র : জি নিউজ