মারমুখী জনতার হাত থেকে পুলিশকে বাঁচালেন ৭ মুসলিম যুবক
ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে প্রতিবাদে উত্তাল দেশটির বিভিন্ন রাজ্য। আমদাবাদে বিক্ষোভকারীদের হাত থেকে পুলিশকে রক্ষা করলেন সাত মুসলিম যুবক। বৃহস্পতিবার শহরের শাহ-ই-আলম এলাকার এই ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
সেখানে দেখা গেছে, নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে ‘গুজরাত বন্ধ’-এর ডাকে সাড়া দিয়ে শাহ-ই-আলম এলাকায় পথে নেমেছেন অসংখ্য মানুষ। সেখানেই ৩০ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হলে পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায় জনতার। প্রতিবাদকারীরা পুলিশের গাড়ি ঘিরে ধরে ভাঙচুর করতে থাকে।
এলোপাথারি ইট-বৃষ্টি হতে থাকে পুলিশকে নিশানা করে। কোণঠাসা হয়ে পড়েন চার পুলিশকর্মী। ইটের ঘা থেকে বাঁচতে একটি দোকানের আড়ালে গা ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করেন তারা। সেখানেও ধেয়ে আসে ইট।
এক সময়ে দেখা যায়, একটি প্লাস্টিকের চেয়ার মুখের সামনে ধরে নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা করছেন দুই পুলিশকর্মী। এই সময়েই ভিড়ের মধ্যে থেকে দু’হাত তুলে ছুটে আসতে দেখা যায় এক মুসলিম যুবক।
মারমুখী জনতার দিকে হাত নেড়ে তাদের থেমে যেতে অনুরোধ করেন তিনি। তার সঙ্গে যোগ দেন আরও তিন জন। একজন একটি বেঞ্চ তুলে ধরে আড়াল করার চেষ্টা করেন ওই পুলিশকর্মীদের। অন্যজন জাতীয় পতাকা নাড়তে থাকেন ভিড় শান্ত করার জন্য।
ভিডিওতে দেখা গেছে, বিক্ষোভকারীদের হাত থেকে শেষমেশ পুলিশকর্মীদের রক্ষা করেন ওই সাত যুবক। এমনকি জনতার হাত থেকে বাঁচিয়ে তাদের নিরাপদ জায়গায় পৌঁছে দেন তারাই।
আজ আবার গুজরাতের বদোদরায় হাতিখানা এলাকায় একটি মসজিদের বাইরে পুলিশকে নিশানা করে পাথর ছোড়ে জনতা। এক পুলিশ কর্মকর্তা আহত হন। এই ঘটনায় তিন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনার সূত্রপাত ভিডিও করা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের আপত্তির কারণে।
পুলিশ জানিয়েছে, নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বিভিন্ন রাজ্যে প্রতিবাদের জেরে স্পর্শকাতর হাতিখানা এলাকার পরিস্থিতিতে নজর রাখতে ভিডিও করছিলেন পুলিশের সঙ্গে আসা ভিডিওগ্রাফার। সেই সময়ে মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে বেরিয়ে এতে আপত্তি জানান কয়েকজন যুবক। তা থেকেই বেধে যায় গোলমাল। শুরু হয় পাথর ছোড়া। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর।
বদোদরার পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, বিক্ষুব্ধ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে ১০টি কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়া হয়। গ্রেফতার করা হয় তিনজনকে। আনন্দবাজার।