ভালুকায় বিয়ের দাবিতে যুবলীগ নেতার বাড়িতে প্রেমিকার অনশন
ময়মনসিংহের ভালুকায় বিয়ের দাবিতে মহসিন আলম নামে এক যুবলীগ নেতার বাড়িতে অনশন করছেন তার প্রেমিকা লুৎফা আক্তার (২২)। ঘটনার পর অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা বাড়ি ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার বিরুনীয়া বাজার এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বিরুনীয়া বাজার এলাকার আবদুল হেলিম ফকিরের ছেলে ৫নং ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহসিন আলমের সাথে একই এলাকার মৃত সুজা উদ্দিনের মেয়ে ও পাশের গফরগাঁও উপজেলার রাতাইচাটি গ্রামের পারভেজ মিয়ার স্ত্রী লুৎফা আক্তারের দেড় বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিলো। যুবলীগ নেতা প্রতারক মহসিন বিয়ের আস্বাস দিয়ে লুৎফাকে তার স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে চলে আসতে বলে। পরে প্রেমিকা লুৎফা তা প্রেমিকের কথামতো গত ১৭ অক্টোবর তার স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে চলে আসেন।
যুবলীগ নেতা মহসিনের বড় বোন কবিতা আক্তার জানান, মহসিমা নামে মহসিনের চার বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তার স্ত্রী জোৎসনা আক্তার বিরুনীয়া ৩৩নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। লুৎফা যেহেতু তার স্বামীকে ছেড়ে চলে এসেছে, মহসিন বাড়িতে নেই, সে আসলে আমরা লুৎফার সাথে বিয়ের ব্যবস্থা করবো।
যুবলীগ নেতা মহসিনের বাবা আবদুল হেলিম ফকির জানান, ছেলে বাড়ি আসলে তার সাথে কথা বলে সমাধান করা হবে।
এদিকে অনশনরত প্রেমিকা লুৎফা আক্তার বলেন, মহসিনের কথামতো স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে ২৩ মাসের কন্যা শিশুকে ফেলে চলে আসার পর চারদিন অতিবাহিত হলেও আমাকে বিয়ে না করায় সোমবার দুপুর থেকে তার বাড়িতে এসে বিয়ের দাবিতে অনশন করছি।
এদিকে যুবলীগ নেতা অভিযুক্ত মহসিন আলম জানান, লুৎফার সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। তবে বাড়িতে উঠার বিষয়টি একটি চক্রান্ত।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আমিরুল ইসলাম আনার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি সমাধনের চেষ্টা চলছে।
ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মাইদুল ইসলাম জানান, অনশনরত প্রেমিকা লুৎফা এখনো মহসিনের বাড়িতেই রয়েছে, আমরা ওই বাড়ি গিয়ে সমাধান করবো।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রেদুয়ান সারোয়ার রব্বানী বলেন, ঘটনাটি লোকমুখে শুনেছি। তবে বিস্তারিত কিছু জানা নেই।
ভালুকা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মাইনউদ্দিন জানান, এখনো পর্যন্ত এ ব্যাপারে অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ভালুকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ কামাল জানান, ঘটনাটি জানা নেই।