ভারতে ১৭ জনের শরীরে করোনার লক্ষণ শনাক্ত
চীন থেকে ভারতে আসা অন্তত ১৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে সেখানকার ইংরেজি দৈনিক ইকোনমিক টাইমস। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, তাদেরকে রাজধানী নয়াদিল্লির একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরো হয়, চীন এবং করোনাভাইরাস আক্রান্ত অন্যান্য দেশ থেকে দিল্লিতে আসা কয়েক হাজার মানুষের শরীর পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ১৭ জনের শরীরে এই ভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিত হয়েছেন ভারতের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা। গত মাসের মাঝের দিক দিল্লি বিমানবন্দরে কয়েক হাজার মানুষের শরীর পরীক্ষা করা হয়। এ সময় ওই ১৭ জনের শরীরে করোনার লক্ষণ পাওয়া যায়। পরে তাদের দিল্লির হাসপাতালে ভর্তি করে কর্তৃপক্ষ।
দিল্লির স্বাস্থ্য বিভাগের প্রকাশিত এক প্রতিবেদন বলছে, চলতি বছরের জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৫ হাজার ৭০০ জন যাত্রী চীন এবং করোনা সংক্রমিত অন্যান্য দেশ থেকে নয়াদিল্লির বিমানবন্দরে আসেন। সেখানে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা যাত্রীদের শরীর স্ক্রিনিং করেন।
স্বাস্থ্য বিভাগের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা বলেন, ‘এর মধ্যে ৪ হাজার ৭০৭ জন যাত্রীর শরীরে করোনাভাইরাসের লক্ষণ পাওয়া যায়নি। তারপরও তাদেরকে নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়। ১৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের লক্ষণ পাওয়া যাওয়ায় তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
চীন, হংকং, থাইল্যান্ড এবং সিঙ্গাপুরসহ অন্যান্য দেশের বিমান যাত্রীরা ভারতে পৌঁছানোর পর বিমানবন্দরে স্ক্রিনিংয়ের মুখোমুখি হন। গত ১৭ জানুয়ারি থেকে ভারতের বিভিন্ন বিমানবন্দরে যাত্রীদের শরীর পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়। সেই সময় থেকে এখন পর্যন্ত ওই ১৭ জন ছাড়াও আরও ৪ জনের শরীরে করোনার উপস্থিতি পাওয়া যায়।
চীনের উহানের এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় ভারতের ক্ষমতাসীন সরকার ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয়ভাবে জরুরি নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র চালু করেছে। এ ধরনের কেন্দ্র দিল্লির আরও ১১টি জেলায় স্থাপন করেছে।
বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কাউকে আক্রান্ত হিসেবে পাওয়া যায়নি। তবে গত ৯ থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে মোট পাঁচ বাংলাদেশি প্রবাসী করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন।
গত ডিসেম্বরে চীনে এই ভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়ার পর থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত দেড় হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। চীনের হুবেই প্রদেশের উহানের একটি সামুদ্রিক খাবারের বাজার থেকে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হয়। (ইকোনমিক টাইমস, এএফপি)