ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বকে আমরা খুব গুরুত্ব দিয়ে থাকি : কাদের

December 31 2019, 03:59

প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে অমীমাংসিত বিষয়গুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বকে আমরা খুব গুরুত্ব দিয়ে থাকি। তবে আমাদের কাছে সবসময় জাতীয় স্বার্থই বড়। ভারতের সঙ্গে যেসব বিষয় অমীমাংসিত রয়েছে আমরা একসঙ্গে বসে আলোচনার মাধ্যমে সেগুলো সমাধান করে ফেলবো।’

সোমবার বনানীর সেতু ভবনের সভাকক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতোর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের তিনি এসব কথা বলেন

এ সময় সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন ও বিক্ষিপ্ত বিষয় মন্তব্য করে কাদের বলেন, ‘ক্যাম্পাসে ককটেল বিস্ফোরণ একটি বিচ্ছিন্ন ও বিক্ষিপ্ত ঘটনা। এর পেছনে পলিটিক্সও কাজ করে। আর বিএনপি অফিসের সামনে কারা ককটেল মেরেছে এটা তারাই (বিএনপি) ভালো জানে। এমন হতে পারে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে তারা নিজেরাই এ কাজ করেছে।’

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থী প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা অ্যাক্সেপ্টেবল এবং উইনেবল প্রার্থী দিয়েছি। সেক্ষেত্রে আগের মেয়র খারাপ কী ভালো সে প্রসঙ্গে আমি যেতে চাই না। সিটি করপোরেশন নির্বাচনের জন্য বিভিন্ন জরিপের মাধ্যমে আমরা গ্রহণযোগ্য প্রার্থী বেছে নিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী পরিষ্কারভাবে বলে দিয়েছেন যে, ফ্রি, ফেয়ার এবং ক্রেডিবল নির্বাচন হবে। জনগণ যাকে খুশি তাকে ভোট দেবে। সেখানে হারি জিতি নাহি লাজ।’

বছরের শেষদিনে পদ্মাসেতুর ২০তম স্প্যান বসছে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, এখন থেকে প্রতি মাসে তিনটি করে স্প্যান বসবে। এটি অব্যাহত থাকলে আগামী জুলাইয়ের মধ্যে স্প্যান বসানোর কাজ শেষ হয়ে যাবে। তবে মূল ব্রিজ চালু করতে ২০২১ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। সে বছরের জুনে ব্রিজ উদ্বোধন করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। তবে এর আগেও কাজ শেষ হয়ে যেতে পারে।’

পদ্মাসেতুর কাজ সার্বিকভাবে ৭৫ শতাংশ শেষ হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এর মধ্যে মূল ব্রিজের কাজ ৮৫ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে এবং সেতু সংলগ্ন সড়কের কাজ ৬৬ শতাংশ শেষ হয়েছে। সামনের বর্ষাকালে যদি কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না আসে তাহলে সঠিক সময়ে পদ্মাসেতুর কাজ শেষ হবে।’

কাদের বলেন, ‘জাপান সবসময় কম খরচে টেকসই কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে করে দেয়। তাই তাদের সঙ্গে আমরা ভবিষ্যতেও কাজ করব। এছাড়া এ মুহুর্তে চট্রগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ককে চারলেনে উন্নীত করার কাজ তাদের মাধ্যমেই করা হবে। এ বিষয়ে আমরা বেশি জোর দিচ্ছি।’

এ সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কর্ণফুলী টানেলের কাজ ৫০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে বলেও সেতুমন্ত্রী।