ভারতকে পেঁয়াজ দেয়া বন্ধ করল তুরস্ক
আমদানির জেরে ভারতের বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছিল অনেকটাই। আবার দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা দেখা দিলো। ভারতে আমদানি করা পেঁয়াজের অর্ধেকই এসেছিল তুরস্ক থেকে। এর জেরে তুরস্কে পেঁয়াজের দাম অনেকটাই বেড়ে যায়। ফলে সে দেশেও পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি নিয়ে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সাময়িকভাবে পেঁয়াজ রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আঙ্কারা। এর জেরে আবার ভারতে পেঁয়াজের দাম ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বৃদ্ধির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে বলে জানাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এই অবস্থায় ভারতে পেঁয়াজ উৎপাদনের দিকে চেয়ে রয়েছেন তারা।
ভারতের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় তুরস্ক, মিসর ও চীন থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করে ভারত। তবে ভারত সবচেয়ে বেশি নির্ভর করেছিল তুরস্ক ও মিসরের পেঁয়াজের উপর। মহারাষ্ট্রের নাসিকের পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সুরেশ দেশমুখ তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের কথা স্বীকার করেছেন। স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের দামে স্থিতাবস্থা আনতে ভারতের মতোই তুরস্কও পেঁয়াজ রফতানির পথে হেঁটেছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
তবে দাম বৃদ্ধির এই আশঙ্কার সঙ্গে একমত নন পুনের পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ী কুণাল কোরপে। তার দাবি, পেঁয়াজের দাম কিলো প্রতি ৫০ থেকে ৬০ রুপিতে ঘোরাফেরা করছে। কারণ, দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজের চাহিদা বেড়েছে। বাজারে স্থানীয় পেঁয়াজ আরো বেশি করে আসছে বলেও তিনি দাবি করেছেন। তার মতে, ২৬ ডিসেম্বর সাড়ে চার হাজার টন আমদানি করা পেঁয়াজ ভারতে ঢুকবে। এর জেরে আরো একপ্রস্থ পেঁয়াজের দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
নাসিকের পাইকারি বাজারে কুইন্টল প্রতি পেঁয়াজের দাম এখন পাঁচ হাজার রুপি। কিন্তু খুচরো দাম কিলো প্রতি ১০০ টাকায় ঘোরাফেরা করছে।
ভারতের কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দাম বাড়ায় এবার পেঁয়াজ চাষের এলাকা অনেকটাই বেড়েছে। দাম বৃদ্ধির ফলে চাষিরা অন্যান্য রবি ফসল ছেড়ে আরো বেশি করে পেঁয়াজ চাষ করেছেন। নভেম্বরে অন্য বছর ২.৩১ লক্ষ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ হয়। এবার সেই এলাকা বেড়ে হয়েছে ২.৭৮ লক্ষ হেক্টর। এই পেঁয়াজ আগামী বছর মার্চের পরে বাজারে চলে আসবে।
সূত্র : বর্তমান