বৃষ্টি ঝরিয়ে কাটল নিম্নচাপ

October 23 2020, 17:36

আশঙ্কার কালো মেঘ সরে গেছে। বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ শক্তি হারিয়ে অতিক্রম করেছে পশ্চিমবঙ্গ-খুলনা উপকূল। বৃষ্টি ঝরিয়ে নিম্নচাপটি দুর্বল হতে থাকায় সমুদ্রবন্দরে চার নম্ব্বর নামিয়ে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। শনিবার থেকে বৃষ্টি কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

তবে ক্ষতি যা হওয়ার তা ইতোমধ্যে হয়ে গেছে। গত দু’দিনের ভারি বৃষ্টিতে আগাম শীতকালীন সবজির ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক। মাথায় হাত পড়েছে সবজি চাষিদের।

নিম্নচাপের প্রভাবে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গত বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টি হচ্ছিল। রাজধানী ঢাকায় শুক্রবার কখনও জোরে, কখনও গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি ও সাপ্তাহিক ছুটির কারণে ঢাকার রাস্তা অন্যান্য দিনের চেয়ে তুলনামূলকভাবে ছিল ফাঁকা। সাপ্তাহিক ছুটি বলে কর্মজীবী মানুষ অফিসে যাওয়ার ঝক্কি থেকে রক্ষা পেয়েছেন।

টানা তিন দিনের বর্ষণে বরগুনাসহ উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। দেশের বিভিন্ন জেলায় ভারি বৃষ্টিতে ক্ষতি হয়েছে আগাম শীতকালীন সবজির। এর আগে গত কয়েক মাসে ভারি বৃষ্টি ও বন্যায় সবজি উৎপাদন কমেছে। কৃষকরা আশায় ছিলেন, রোদ ঝলমলে আবহাওয়া পেলেই মাঠ থেকে আগাম সবজি তুলে আয় করা যাবে। কিন্তু সে আশা ভেঙে গেল এই নিম্নচাপে।

আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান খান বলেন, নিম্নচাপটি দুপুর ১২টা থেকে সাগরদ্বীপের পাশ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ-খুলনা উপকূল অতিক্রম করতে থাকে। সন্ধ্যায় তা উপকূল অতিক্রম করেছে। তিনি বলেন, আমাদের অনুমান, শনিবার দুপুর থেকে আবহাওয়া ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করবে। রোববার সকাল থেকে বাতাসের গতিবেগ, বৃষ্টি এবং মেঘ স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে আসবে বলে ধারণা করা যেতে পারে।

পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক কাজী কেরামত জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার রাত ৮টা পর্যন্ত ২৫৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে; যা পটুয়াখালীর গত চার বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত।

সাগরে গভীর নিম্নচাপের কারণে ভোলা জেলার মেঘনা, তেঁতুলিয়া, বুড়িগৌরাঙ্গ, ইলিশা নদী ও সাগর মোহনায় জোয়ারের উচ্চতা, বাতাস, বৃষ্টি ও ঢেউয়ের তাণ্ডব বেড়ে যায়। বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে চট্টগ্রামসহ আশপাশের এলাকায় মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টি হচ্ছে বলে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস থেকে জানানো হয়। শুক্রবার রাত ৮টা পর্যন্ত চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। একই সময়ে ঢাকায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় ৫৪ মিলিমিটার।