বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে চ্যাম্পিয়ন মাহমুদুল্লাহর দল
বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ ওয়ানডে টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতলো মাহমুদুল্লাহ একাদশ। নাজমুল একাদশকে ৭ উইকেটে হারালো তারা। মিরপুরে শেরেবাংলা মাঠে আগে ব্যাটিং শেষে ১৭৩ রানে থামে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। জবাবে ২৯.৪ ওভারে টার্গেট পার করে মাহমুদুল্লাহ একাদশ। ব্যাট হাতে ফিফটি করেন ওপেনার লিটন কুমার দাস ও চার নম্বর ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েস। ৬৯ বলে ৬৮ রানের ইনিংসে লিটন হাঁকান ১০টি বাউন্ডারি। আর ৫৫ বলে ৫৩ রানের ইনিংসে একটি চারের সঙ্গে ৬টি ছক্কা হাঁকান ইমরুল। নাজমুল একাদশের বল হাতে ১০ ওভারের স্পেলে ৪৮ রানে দুই উইকেট নেন স্পিনার নাসুম আহমেদ।
আসরের রাউন্ড রবিন পর্বে দুই সাক্ষাতেই মাহমুদুল্লাহ একাদশকে হারিয়েছিল শান্তর দল।
রোববার টসে জিতে নাজমুল একাদশকে ব্যাটিংয়ে পাঠান প্রতিপক্ষ অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। পেসার সুমন খানের বোলিং তোপে মাত্র ৬৪ রানে পাঁচ উইকেট খোয়ায় শান্তরা। তবে সাত নম্বরে ব্যাট হাতে ইরফান শুক্কুর ৭৫ রানের ইনিংস খেললে লড়াইয়ের পুঁজি পায় নাজমুল একাদশ। বল হাতে ১০ ওভারের স্পেলে ৩৮ রানে পাঁচ উইকেট নেন মাহমুদুল্লাহ একাদশের পেসার সুমন খান।
জবাবে দলীয় ১৮ রানে মুমমিনুল হকের উইকেট খুইয়ে চাপে পড়ে মাহমুদুল্লাহ একাদশ। তবে লিটন দাস ও ইমরুল কায়েসের সাবলীল ব্যাটিংয়ে শেষ পর্যন্ত সহজ জয়ই পায় তারা।
মার্চে করোনা মহামারির কারণে দেশের সবধরণের ক্রিকেট স্থগিত হয়েছিল। সেপ্টেম্বরে বিসিবির ব্যবস্থাপনায় ব্যক্তিগত অনুশীলনে মাঠে ফেরে ক্রিকেটাররা। এরপর গেল মাসে শ্রীলঙ্কা সফর সামনে রেখে ক্যাম্প আয়োজন করে বিসিবি। কিন্তু সেই সফরও স্থগিত হয়ে যায়। এরপর ক্রিকেট মাঠে ফেরাতে বিসিবি আয়োজন করে জাতীয় দল, এইচপি ও অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটারদের নিয়ে বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ ওয়ানডে টুর্নামেন্টের। ওয়ানডে এই টুর্নামেন্ট মাঠে গড়ায় তিন দল নিয়ে। যার একটির নেতৃত্ব দেন দেশের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তবে প্রথম দুই রাউন্ডে ৪ ম্যাচের তিনটিতে হেরে বিদায় নেয় তার দল। ফাইনাল খেলে নাজমুল ও মাহমুদুল্লাহ একাদশ।
ম্যান অব ফাইনাল পুরস্কার জেতেন সুমন খান। আর টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার ওঠে নাজমুল একাদশের উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহীমের হাতে। টুর্নামেন্টের সেরা ব্যাটসম্যানের পুরস্কার পান ইরফান শুক্কুর। সেরা বোলার রুবেল হোসেন ও টুর্নামেন্ট সেরা ফিল্ডারের পুরস্কার কুড়ান নুরুল হাসান সোহান। এছাড়াও কামব্যাক প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্ট পুরস্কার তাসকিন আহমেদ ও প্রমিসিং প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্ট পুরস্কার পান রিশাদ আহমেদ।