বাগেরহাটে তরুণীকে ধর্ষণের মামলায় ইউপি সদস্যসহ গ্রেপ্তার ৫

October 27 2020, 12:54

বাগেরহাট সদর উপজেলায় এক তরুণীকে ধর্ষণের মামলায় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শেখ মিজানুর রহমানসহ (৩৫) পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে বাগেরহাট সদর উপজেলার বাকপুরা ও হদেরহাটসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে বাগেরহাট মডেল থানা পুলিশ।

শেখ মিজানুর রহমান বাগেরহাট সদর উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। তিনি বাকপুরা গ্রামের আব্দুল মজিদ শেখের ছেলে। গ্রেপ্তারকৃত অন‌্যরা হলো—বাগেরহাট সদর উপজেলার চিন্তারখোড় গ্রামের অমল মৃধার ছেলে বিকাশ মৃধা (১৯), নারায়ণ চন্দ্র সরকারের ছেলে সুকান্ত সরকার (৩২), অসীম বিশ্বাসের ছেলে বিধান বিশ্বাস (২৮) এবং মো. আনোয়ার ফকিরের ছেলে সোহেল ফকির (২৩)।

মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) সকালে ওই তরুণী উল্লিখিত পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, সোমবার (২৬ অক্টোবর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বন্ধুদের সঙ্গে বিভিন্ন দুর্গাপূজা মণ্ডপ দেখে ভ্যানযোগে বাড়ি উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। রাত ১০টার দিকে বাকপুড়া মোড়ে পৌঁছালে তাকে ভ্যান থেকে নামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন মিজানুর রহমান। পরে ভয়ভীতি দেখিয়ে বাকপুড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নতুন ভবনের পেছনে নিয়ে ধর্ষণ করেন। রাত পৌনে ১২টার দিকে ওই তরুণীকে চিন্তিরখোড় এলাকায় রেখে যান মিজান। ওই তরুণী একা একা রাস্তায় হাঁটতে থাকেন। রাত ১২টার দিকে বিকাশ মৃধা, সুকান্ত সরকার, বিধান বিশ্বাস, সোহেল ফকিরসহ কয়েকজন হদেরহাট বাজারে আবুল হোসেনের ভবনের পেছনে নিয়ে তার শ্লীলতাহানি ঘটান।

নির্যাতিত তরুণীর বাবা-মা বলেন, ‘এক বছর আগে মেয়েকে পোশাক কারখানায় কাজ করতে ঢাকায় পাঠাই। পূজার ছুটিতে মেয়ে বাড়িতে এসেছিল। বন্ধুদের সঙ্গে পূজা দেখতে যাওয়াই কাল হল তার। আমাদের মেয়ের ওপর নির্যাতনের বিচার চাই।’

বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘মামলা দায়েরের পর আমরা ওই তরুণীর ডাক্তারি পরীক্ষা করেছি। ধর্ষণের মামলায় ইউপি সদস্য মিজানুর রহমানসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।’