বন্যার্তদের সাহায্যে বিএনপির ত্রাণ তহবিল সংগ্রহে বাধার অভিযোগ
গাজীপুরে অসহায় ও বন্যার্তদের সহযোগিতায় বিএনপির ত্রাণ তহবিল সংগ্রহ কার্যক্রমে পুলিশ বাধা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা বিএনপির সভাপতি।
শনিবার বিকালে গাজীপুর বিএনপির উদ্যোগে শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তা ইয়াকুব আলী মাস্টার টাওয়ারের সমানে বন্যাদুর্গতের জন্য স্থানীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের কাছে ত্রাণ সংগ্রহ করা হচ্ছিল।
এ সময় ব্যাপক লোকসমাগম হওয়ার কারণে বাধা দেয় পুলিশ। এতে বিএনপির ত্রাণ সংগ্রহ কার্যক্রম পণ্ড হয়ে যায়।
গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি একেএম ফজলুল হক মিলন জানান, বন্যাদুর্গত এলাকার মানুষ অনাহারে ভুগছেন এবং চিকিৎসার অভাবে নানা প্রকার রোগে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। অসহায় মানুষের জন্য বিএনপি নেতাকর্মী ও স্থানীয়দের কাছ থেকে ত্রাণ তহবিল সংগ্রহের সময় পুলিশ বাধা দিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
তিনি বলেন, পুলিশি বাধা দিয়ে সরকার বুঝিয়ে দিল তারা বন্যাদুর্গত মানুষের কল্যাণ চায় না।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু বলেন, আমাদের শান্তিপ্রিয় ত্রাণ তহবিল সংগ্রহ কার্যক্রমে নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দিয়ে পুলিশ ন্যক্কারজনক কাজ করেছে।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ রিয়াজুল হান্নান বলেন, মানুষের পাশে দাঁড়ানোর মতো কাজেও পুলিশি বাধা দিয়ে প্রমাণ করেছে- অসহায় মানুষের পাশে সরকার নেই।
ত্রাণ তহবিল সংগ্রহ কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির সভাপতি একেএম ফজলুল হক মিলন, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুর হান্নান, শ্রীপুর বিএনপির সভাপতি শাহজাহান ফকির, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সবুজ, শ্রীপুর পৌর বিএনপির সভাপতি মো. কাজী খান, গাজীপুর সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবু তাহের মুসুল্লি, কাপাসিয়া বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান পেরা, কালীগঞ্জ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান বাবলু, শ্রীপুর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আক্তারুল আলম মাস্টার, শ্রীপুর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন বেপারী, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক আতাউর রহমান মোল্লা এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।