প্রেমে বাধা দেয়ায় টাওয়ারে উঠে কিশোরের আত্মহত্যার চেষ্টা
প্রেমে বাধা দেয়ায় মোবাইল টাওয়ারে উঠে আবদুল্লাহ মিম (১৭) নামে এক কিশোর আত্মহত্যার চেষ্টা করে। তিন ঘন্টা চেষ্টা করে ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা তাকে টাওয়ার থেকে নামিয়ে এ্যাম্বুলেন্সে করে চিকিৎসার জন্য আমতলী হাসপাতালে এনে ভর্তি করে।
জানা যায়, সোমবার বিকেল ৪টায় পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ রোড এলাকার বাসিন্ধা মো. বাহাদুর জোমাদ্দারের ছেলে আবদুল্লাহ মিম প্রেম ঘটিত কারণে আত্মহত্যা করার জন্য ফায়ার সার্ভিস সংলগ্ন রবি’র মোবাইল টাওয়ারের উপড়ে উঠে পড়ে। পথচারী বেল্লাল কিশোর মিমকে মোবাইল টাওয়ারের উপড়ে উঠতে দেখে মুঠোফোনে ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মীরকে জানায়। কাউন্সিলর হাবিব পৌর মেয়র মো. মতিয়ার রহমানকে জানালে তিনি দ্রুত একটি হ্যান্ড মাইক নিয়ে মোবাইল টাওয়ারের কাছে গিয়ে মিমকে টাওয়ার থেকে নামতে অনুরোধ করে। মিম তাতে কর্নপাত না করে টাওয়ারের শেষপ্রান্তে উঠে পড়ে।
মিম তখন বলতে থাকে সে অজ্ঞাত একটি মেয়েকে দীর্ঘদিন ধরে ভালবাসে, তাকে না পেলে সে এ জীবন রাখবে না। মিমের বাবা-মা তার এই পছন্দের পাত্রীর সাথে তাকে বিয়ে দিতে চাচ্ছে না। যা নিয়ে আজকে সকালে বাবা মায়ের সাথে তার মনোমালিন্যের ঘটনা ঘটেছে। এ কারণে সে আত্মহত্যা করতে মোবাইল টাওয়ারে উঠে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে তার মাকে কল করে বলে সে আত্মহত্যা করতে যাচ্ছে। এক পর্যায়ে মায়ের কাছে ক্ষমা চেয়ে ফোনের লাইন কেঁটে দেয়।
এসময় মিমের মা বাবা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ছেলেকে টাওয়ার থেকে নেমে আসতে বলে বলে। কিন্তু তাদের কথায় কোন কর্ণপাত না করলে পৌর মেয়র মো. মতিয়ার রহমান তাকে হ্যান্ড মাইকে ওই মেয়ের সাথেই তার বিয়ে দিবে হবে বলে আশ্বাস প্রদান করে নিচে নেমে আসার জন্য অনুরোধ করে।
এরপর মিম বিকেল ৫টার পরে টাওয়ার থেকে নিচে নামতে শুরু করে। কিছুটা নিচে নেমে আসার পরে টাওয়ারের একদম উপরের জালির উপড়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। এ সময় ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা টাওয়ারের সিঁড়ি বেয়ে উপড়ে উঠে তাকে উদ্ধার করে।
পরে সন্ধ্যা সারে ছয়টার দিকে পটুয়াখালী থেকে আসা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সহায়তায় আমতলী ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা হান্ডেটড্রেস (ষ্টেচার) দিয়ে মিমকে টাওয়ারের নিচে নামিয়ে এ্যাম্বুলেন্সে করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে।