প্রবাসীদের ৪ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে মালয়েশিয়া!
বৈধতা দেয়ার নামে মালয়েশিয়ায় ছয় লাখেরও বেশি অভিবাসী বা প্রবাসীর সাথে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। রি-হায়ারিংয়ের নামে প্রবাসীদের কাছ থেকে দেশটির নেয়া মোটা অঙ্কের টাকা উদ্ধারে আন্দোলন শুরু করেছে মালয়েশিয়ার মানবপাচারবিরোধী কাউন্সিল।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি দেশটির কিনিতে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, মালয়েশিয়ার তৎকালীন সরকার রি-হায়ারিং প্রোগ্রামের নামে অবৈধ অভিবাসী শ্রমিকদের কাছ থেকে দুই বিলিয়ন রিংগিত তথা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় চার হাজার কোটি টাকা তিনটি ভেন্ডর কোম্পানি হাতিয়ে নিলেও অবৈধ কর্মীদের বৈধতা দিতে পারেনি তারা। উল্টো কর্মীদের হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এমন পরিস্থিতিতে নিয়োগপ্রাপ্ত তিনটি (ভেন্ডর) সংস্থার বিরুদ্ধে একটি পুলিশ প্রতিবেদন দায়ের করেছে মালয়েশিয়ার সেলাঙ্গারের মানবপাচারবিরোধী কাউন্সিল। প্রতিবেদনে বলা হয়, অনিবন্ধিত অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য পুনর্বাসন কর্মসূচি করতে ব্যর্থ হয়েছে মালয়েশিয়া সরকার।
সেলাঙ্গারের মানবপাচারবিরোধী কাউন্সিল অবৈধ কর্মীদের টাকা পুনরুদ্ধারে ওই তিনটি ভেন্ডরের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। মানবপাচারবিরোধী কাউন্সিলের সদস্য আবদুল আজিজ ইসমাইল, পুলিশি তদন্তপূর্বক অবৈধ বিদেশী কর্মীদের কাছ থেকে নেয়া অর্থ উদ্ধারের আহ্বান জানান।
এ দিকে গত (১৭ ডিসেম্বর) ফ্রি-মালয়েশিয়া টুডে নামে দেশটির একটি বেসরকারি সংস্থার একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, বৈধতা না পাওয়া অভিবাসীদের কাছ থেকে নেয়া অর্থের পরিমাণ প্রায় সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা।
২০১৬ সালে ‘রিহায়ারিং প্রোগ্রাম’ নামে একটি প্রকল্প হাতে নেয় মালয়েশিয়া সরকার। প্রকল্পটি শেষ হয় ২০১৮ সালে। তিনটি ভেন্ডরের মাধ্যমে প্রকল্পটি পরিচালনা করে দেশটির কয়েকটি বেসরকারি সংস্থা। তারা অভিবাসীর কাছ থেকে জনপ্রতি ৬ হাজার রিংগিত (বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার) জমা নেয়।