প্রক্সি নয়, সরাসরি হামলার নির্দেশ আয়াতুল্লাহ খামেনির
ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি জেনালের কাশেম সোলাইমানির হত্যার প্রতিশোধ নেয়ার জন্য মার্কিন স্বার্থের বিরুদ্ধে সরাসরি আক্রমণ চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন। সোলাইমানি ছিলেন, ইরানের রেভ্যুলেশনারী গার্ডের বিশেষ শাখা কুদস ফোর্সের প্রধান।
ইরানি বাহিনীকে এই অঞ্চলে তেহরানের প্রক্সির উপর নির্ভর না করে সরাসরি প্রতিশোধ নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন খামেনি।
যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় নিহত সোলাইমানির কফিন সোমবার তেহরানে সর্ব সাধারণের শ্রদ্ধার জন্য রাখা হয়েছিলো। ওইখানে দাড়িয়ে খামেনি এই নির্দেশ দিয়েছেন।
সোমবার তেহরানে সোলাইমানির কফিনের সামনে দাড়িয়ে প্রকাশ্যে কেঁদেছিলেন ইরানের শীর্ষ নেতা। তখনই ড্রোন হামলায় জেনারেলকে হত্যা করার ‘কঠিন প্রতিশোধ’ নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
এদিকে রেভল্যুশনারি গার্ডের প্রধান হোসেইন সালামি বলেছেন, আজ (মঙ্গলবার) জেনারেল সোলাইমানির দাফনের পর ওয়াশিংটন সমর্থিত এলাকায় আঘাত করবে ইরান।
মঙ্গলবার সোলাইমানির হোমটাউন কারমানে সোলাইমানের জানাযা নামাজের সময় পদদলিত হয়ে ৩৫জন নিহত হওয়ার আগে এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছিলেন সালামি।
প্রতিশোধের ১৩ রুপ রেখা উত্থাপন
ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সচিব আলী শামখানি বলেছেন, জেনারেল সোলাইমানিকে হত্যার প্রতিশোধের জন্য জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদে এ পর্যন্ত ১৩টি রূপরেখা উত্থাপিত হয়েছে, এগুলো নিয়ে কাজ চলছে।
এর মধ্যে ইরানের সবচেয়ে দুর্বল রূপরেখাটিও যদি বাস্তবায়ন করা হয় তাহলে তা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ঐতিহাসিক দুঃস্বপ্ন হিসেবে দেখা দেবে। তিনি আরও বলেন, প্রতিশোধের জন্য ১৩টি রূপরেখা এসেছে। তবে এখনই এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে বিস্তারিত জানানো সম্ভব নয় বলে তিনি জানান।
আলী শামখানি বলেন, জেনারেল সোলাইমানি হত্যার প্রতিশোধ কেবল একটি অভিযানের মাধ্যমে নেয়া হবে না বরং প্রতিরোধ ফ্রন্টের সব যোদ্ধা মিলে এর প্রতিশোধ নেবে।
তিনি আরও বলেন, ইরান সীমান্তের খুব কাছেই আমেরিকার ১৯টি ঘাঁটি রয়েছে। এগুলো এখন সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। সেখানকার জনশক্তি ও সামরিক সরঞ্জাম সম্পর্কে আমাদের হাতে পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য রয়েছে এবং তাদের ছোট-বড় সব ধরণের তৎপরতা নজরদারি করা হয়েছে।