পেঁয়াজের কেজি আবারও ২৫০ টাকা!
পেঁয়াজের দাম ফের ঊর্ধ্বমুখী। বিমানে করে পেঁয়াজ আমদানির পর দাম কিছুটা কমলেও সোমবার নিত্যপ্রয়োজনীয় এ দ্রব্যটি খুলনায় বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ২২০ থেকে ২৫০ টাকা দরে।
মাত্র এক দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৩০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত। এর আগে রবিবার খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
খুলনা নগরীর সর্ববৃহৎ মোকাম বড় বাজার, সোনাডাঙ্গা পাইকারী বাজারসহ সর্বত্র পেঁয়াজের সরবরাহ কম থাকায় দাম বাড়ছে বলে জানান বিক্রেতারা।
নগরীর একাধিক বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২২০ থেকে ২৫০ টাকা দরে। আফগান, তুরস্ক ও মিয়ানমারের পেঁয়াজ ১৮০ থেকে ২২০ টাকা, মিসর ও চীনের পেঁয়াজ ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা যায়।
খুচরা বিক্রেতারা জানান, রবিবার ভোর থেকে সারাদিন বড় বাজার ও সোনাডাঙ্গাসহ পাইকারী বাজারে পেঁয়াজের কোনো সরবরাহ পাওয়া যায়নি। বড় বাজার থেকে ২২০ থেকে ২৪০ টাকা কেজি দরে অল্পকিছু পেঁয়াজ কিনেছেন যা ২৫০ টাকার নিচে বিক্রি করলে লোকসান হবে তাদের।
ক্রেতা ধরে রাখার জন্যই পেঁয়াজ বিক্রি করছেন, অন্যথায় দোকানে পেঁয়াজ রাখতেন না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ব্যবসায়ীরা।
ময়লাপোতা মোড়ের খুলনা সিটি কপোরেশনের (কেসিসি) সন্ধ্যাকালীন বাজারের সুমি স্টোরের মালিক জানান, আফগানিস্তানের পেঁয়াজ ১৮০ টাকা ও দেশি পেঁয়াজ ২৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন তিনি। যেমন দামে কেনা, তেমন দামে বিক্রি বলে মন্তব্য করেন এ ব্যবসায়ী।
নগরীর তারেরপুকুর মোড়ের বিসমিল্লাহ স্টোরের মালিক মো. হালিম বলেন, ‘বড় বাজারের কোনো পাইকারের কাছে পেঁয়াজ পাইনি। বড় বাজারের খুচরা বিক্রেতাদের কাছ থেকে কয়েক কেজি পেঁয়াজ কিনেছি অনেক বেশি দামে, যা ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করলেও লোকসান হবে। তবুও কাস্টমার ধরে রাখার জন্য কিছু পেঁয়াজ রাখতে হয়; তাই লোকসান করে হলেও রেখেছি।’
বিমানযোগে বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ দেশে পৌঁছালেও ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আসছে না এর মূল্য। আমদানির পরিমাণ আরও বাড়লে দাম কমবে বলে আশা করছেন পাইকাররা।
অন্যদিকে, বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় অব্যাহত রয়েছে টিসিবির খোলা বাজারে ট্রাকসেলে পেঁয়াজ বিক্রি। দীর্ঘ সময় ধরে সারিবদ্ধ লাইনে দাঁড়িয়ে পেঁয়াজ কিনতে দেখা গেছে ক্রেতাদের। প্রতিদিন একেকটি ট্রাকযোগে এক হাজার কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে। বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত টিসিবির বিক্রি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সূত্র : ইউএনবি