পবিত্র কাবা শরীফ ও মসজিদে নববিতে সেলফি নিষিদ্ধ হল
মুসলিম উম্মাহর সর্বোচ্চ মর্যাদা ও সম্মানের স্থান মক্কা নগরীর মসজিদে হারাম তথা কাবা শরিফ এবং মদিনার মসজিদে নববি। এ দুই পবিত্র স্থানে সেলফি নিষিদ্ধ করেছেন হারামাইন কর্তৃপক্ষ। মক্কা নগরীর মসজিদে হারাম তথা কাবা শরিফ ও মদিনার মসজিদে নববি সহ হজ ও ওমরায় গিয়ে মানুষ সেলফি তোলে।কিছু মানুষের সেলফি তোলা অন্যান্য দর্শনার্থীদের স’ম’স্যা’র কারণ হয়। সে কারণে সৌ’দি আ’র’বে’র হারামাইন ওয়াশ শারিফাইন কর্তৃপক্ষ এক ফরমান জারি করে তা নিষিদ্ধ করেন। পবিত্র নগরীতে সেলফি তোলার ক্ষেত্রে বি’ত’র্কে’র তৈরি হয়। মুসলিমদের এ পবিত্র স্থানে অ-মু’সলিমদের প্রবেশ নিষিদ্ধ।
সেখানে ই’স’রা’ই’লে’র এক ই’য়া’হু’দি ধর্মযা’জ’ক প্রবেশ করে এবং সেলফি নেয়। সে সময় সৌ’দি সরকার এ সেলফির কারণে চরম বি’ত’র্কে’র মাঝে পড়ে যায়। সৌ’দি’র এ দুই পবিত্র নগরীতে অনেক আগে থেকেই তা নিষিদ্ধ করা হয়।
তুরস্কের দৈনিক আল-সাবাহসহ বিশ্বের অনেক গণমাধ্যমই এ সংবাদ প্রকাশ করে। আল-সাবাহ ১২ নভেম্বর ২০১৭ সালে এবং জাকার্তা পোস্ট একই বছরের ২৭ নভেম্বর এ নিষেধাজ্ঞার সংবাদ প্রকাশ করে।ই’স’রা’ই’লে’র ধ’র্মযা’জ’কে’র সেলফির ঘটনার পর এক তুর্কী দম্পতির নিয়ত ছিল পবিত্র নগরী মক্কা ও মদিনায় যাওয়ার।
তারা সেখানে গিয়ে ভিডিও করে তা প্রকাশ করে। আর এতে চরম বি’ত’র্কে’র মুখে পড়ে হারামাইন কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় এ সেলফির কারণে বি’ত’র্কে’র মুখোমুখি হয়েছিল সৌ’দি কর্তৃপক্ষ।
সে কারণে এবার পবিত্র নগরীতে সেলফি তোলায় জোরদার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সৌ’দির হারামাইন কর্তৃপক্ষ। যদি সেখানে কাউ কে সেলফি তুলতে দেখলেই দায়িত্ব পালনকারী আইনশৃঙ্খলা র’ক্ষা’কারী বাহিনী মোবাইল বা’জে’য়া’প্ত করে নেবে।
রাসূল (সা.) এর হুঁশিয়ারি, যে ১০টি কাজ করলে বি’প’দ অবধারিত !
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) উম্মতের মঙ্গলের জন্য কিয়ামত পর্যন্ত দিক নির্দেশনা দিয়ে গেছেন। হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘যখন আমার উম্মত ১০টা কাজ করবে, তখন তাদের ওপর বি’প’দ নেমে আসবে।
রাসূল (সা.)-কে জিজ্ঞাসা করা হলো, হে আল্লাহর রাসূল, কি সেই ১০ টি কাজ? যা করলে বিপদ হবে?তিনি বললেন, ‘যখন রাস্ট্রীয় সম্পদকে ব্যক্তিগত সম্পত্তি মনে করা হবে। যখন আমানত হিসেবে রক্ষিত সম্পদকে লুটের মাল হিসাবে গ্রহণ করা হবে। যাকাতকে জরিমানার মত মনে করা হবে। স্বামী যখন স্ত্রীর আনুগত্য করবে এবং মায়ের অবাধ্য হবে। বন্ধুর প্রতি সদাচারী ও পিতার সঙ্গে দুর্ব্যবহারকারী হবে।
মসজিদে হৈ-চৈ হবে। জনগণের নেতা হবে সেই ব্যক্তি যে তাদের মধ্যেকার সব চেয়ে নিকৃষ্ট চরিত্রের অধিকারী। মানুষকে তার ক্ষ’তি’র আ’শং’কায় সম্মান করা হবে। গায়িকা ও বাদ্যযন্ত্রের হিড়িক পড়ে যাবে। উম্মতের পরবর্তীরা পূর্ববর্তীদের কে অ’ভিশাপ দেবে। তখন আ’গু’নের বাতাস আসবে, মাটির ধ’স ও দেহের বি’কৃ’তি ঘটবে।’ সহীহ তিরমিযী, আততারগীব ওয়াত তারহীব: ৩য় খন্ড: ১৫৪১।