নেত্রকোনায় ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণ, আটক ১
নেত্রকোনায় টিভি দেখার লোভ দেখিয়ে ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তাহের মিয়া (৬০) নামের এক জনকে আটক করেছে পুলিশ। পৌর এলাকার কাটলী খালপাড় এলাকায় শনিবার (২৪ অক্টোবর) ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
পরে রোববার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় শিশুর মা বাদী হয়ে তাহেরের বিরুদ্ধে নেত্রকোনা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ অভিযুক্ত তাহেরকে সেদিন রাতেই আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সোমবার (২৬ অক্টোবর) আদালতে সোপর্দ করে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুনসী জানান, অভিযোগের সাথে সাথেই অভিযুক্তকে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত তাহের মিয়া ঘটনার কথা স্বীকার করেছে। পরে তাকে সোমবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ভিকটিমের বাড়ি ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি আমরা। আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তবে তিনি আরো জানান, জেলাবাসী এই ধরনের যে কোনো ঘটনায় তাৎক্ষনিক পুলিশকে জানালে সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সাথে পুলিশ বিষয়টি দেখবে। এর কোনো ব্যত্যয় ঘটবে না।
ভিকটিমের পরিবার ও প্রতিবেশীরা জানান, পৌর শহরের কাটলি খালপাড় এলাকার এক মালিকের বাড়িতে ৯ টি পরিবার একসাথে ভাড়া থাকেন। তাদের মধ্যে তাহের মিয়াও তার পরিবার নিয়ে থাকেন। তাহের মিয়ার স্ত্রী বাবার বাড়িতে যাওয়ার পর শনিবার পাশের ঘরের ৫ বছরের এক শিশুকে টিভি দেখার কথা বলে তাহের মিয়া নির্যাতন করে।
পরে দীর্ঘক্ষণ শিশুটিকে না পেয়ে শিশুর মা দাদী খোঁজাখুঁজি করতে থাকলে তাহের মিয়া নিজেই আওয়াজ দেন তার ঘরে শিশুটি টিভি দেখছে। এসময় শিশুটিকে আনতে গেলে ভেতর থেকে দরজা আটকানো থাকায় শিশুটির মা চিৎকার চেঁচামেচি করেন। পরে দরজা খুলে দিলে তাহের মিয়ার ঘর থেকে শিশুকে উদ্ধার করা হয়।
রোববার সন্ধ্যায় নেত্রকোনা মডেল থানায় মামলা দায়েরের পর তাহেরকে আটক করে পুলিশ। অন্যদিকে শিশুটিকে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে সোমবার দুপুরে বাড়ি পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত তাহেরের স্ত্রী বলেন, আমি আমার জায়ের কাছে খবর পেয়ে বাবার বাড়ি থেকে ছুটে এসেছি। এসে দেখি স্বামী পলাতক। তিনি বলেন, ধর্ষণ করেছে মনে হচ্ছে না। কিন্তু যাই করেছে তা করা ঠিক হয়নি।
এদিকে, এ ঘটনায় এলাকায় অন্যান্য শিশু ও অভিভাবকদের মাঝে আতংক বিরাজ করছে।