নাগরিকত্ব আইন নিয়ে অগ্নিগর্ভ পশ্চিমবঙ্গ

December 15 2019, 05:02

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন পাসের (ক্যাব) প্রতিবাদে উত্তপ্ত ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোর পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গেও ঘেরাও, ব্যাপক বিক্ষোভ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শনিবার রাজ্যটির বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ, রেল-সড়ক অবরোধ করেছে বিক্ষোভকারীরা। এর আগে গত শুক্রবার মুর্শিদাবাদ, বেলডাঙ্গা, উলুবেড়িয়াসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় গাড়ি, বাস ভাঙচুরের পাশাপাশি রেলস্টেশনে অগ্নিসংযোগ হয়েছে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, এনডিটিভি ও আনন্দবাজার।

বেশির ভাগ এলাকায় ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ হয়ে আছে। বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সরকারি বাস ভাঙচুর ও পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কয়েকটি স্টেশনে আগুনও ধরিয়ে দেয়া হয়েছে। প্রতিবাদকারীদের দমাতে কোনো কোনো এলাকায় পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হয়েছে।

এ দিকে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট অস্থিরতায় ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোতে ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও ফ্রান্স। প্রয়োজন ছাড়া ওই সব এলাকায় না যেতে নাগরিকদের পরামর্শ দিয়েছে এই চারটি দেশ। ভারতে অবস্থানরত নাগরিকদের স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা এবং গণমাধ্যমের খবর অনুসরণেরও পরামর্শ দিয়েছে তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কতায় পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সরকারি কর্মকর্তাদের আসাম ভ্রমণে স্থগিতাদেশ দেয়ার কথা বলা হয়েছে। কানাডা ও ফ্রান্সও উত্তর-পূর্ব ভারত ভ্রমণে নাগরিকদের অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে বলেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএনআই।

এ দিকে ভারতে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের (ক্যাব) বিরুদ্ধে গণ-আন্দোলোনের ডাক দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামীকাল সোমবার থেকে কলকাতাসহ রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনে নামছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘নো ক্যাব, নো এনআরসি’ স্লোগান নিয়ে সোম, মঙ্গল ও বুধবার তিন দিন কলকাতা ও হাওড়ায় দলের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নেবেন মমতা।

কলকাতার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, এই প্রতিবাদে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিজেপিবিরোধী সব দলকে অংশ নিতে এবং শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে। ক্যাবের বিরুদ্ধে দেশটির সুপ্রিম কোর্টে এখন পর্যন্ত ১২টি মামলা হয়েছে। আরো মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে বিভিন্ন সংগঠন ঘোষণা দিয়েছে।

গত শুক্রবার জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুতেরেসের মুখপাত্রের তরফে জানানো হয়েছে, আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারত নাগরিকদের সমানাধিকার ও মানবাধিকার বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে ভারত নাগরিকদের সমানাধিকার রক্ষা করবে বলে নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার কনভেনশন সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল। কিন্তু ‘নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ২০১৯’-এ সেই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার দফতর। জেনেভায় অ্যান্তেনিও গুতেরেসের অতিরিক্ত মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশে গোটা দেশে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। বিষয়টির ওপর নজর রাখা হয়েছে। এ আইনের ফলে সংখ্যালঘু মুসলিমদের স্বার্থ সুরক্ষিত নয়।’
আগামী ১৮ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপারের সাথে বৈঠক করবেন রাজনাথ ও জয়শঙ্কর। ভারতের নতুন নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মার্কিন উদ্বেগ আন্তর্জাতিক মঞ্চে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।
এর আগে লোকসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস হওয়ার পরই ‘ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজনের অভিযোগে মার্কিন সরকারের কাছে অমিত শাহের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সুপারিশ জানায় মার্কিন কমিশন। লোকসভায় ক্যাব পাসের বিষয়ে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করে ইউএসসিআইআরএফের এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ক্যাবের মাধ্যমে অভিবাসীদের নাগরিকত্ব দেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কিন্তু ধর্মের ওপর ভিত্তি করেই আইনি যোগ্যতামান নির্দিষ্ট করার মাধ্যমে মুসলিমদের এই ব্যবস্থা থেকে বাদ দেয়া হচ্ছে। ক্যাব আদতে ভুল পথে আগানোর এক ভয়ঙ্কর পদক্ষেপ।’

গত বৃহস্পতিবার ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ সংশোধিত নাগরিকত্ব বিলে অনুমোদন দেয়ার পর ভারতজুড়ে শুরু হয়েছে ক্যাববিরোধী আন্দোলন। দেশজুড়ে তীব্র প্রতিবাদ, আন্দোলন, রেল অবরোধ, স্টেশনে ট্রেন অবরোধসহ জ্বালাও-পোড়াওয়ের ঘটনা ঘটছে। পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরা, মেঘালয় রাজ্যে ক্যাবের বিরুদ্ধে জোর আন্দোলন চলছে।

শান্ত হচ্ছে আসাম : আসাম পুলিশের ডিজি ভাস্করজ্যোতি মহন্ত শুক্রবার রাতে জানান, রাজ্যের হিংসা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। নতুন করে হিংসা যাতে ছড়িয়ে না পড়ে এবং পরিস্থিতি যাতে আয়ত্তের বাইরে চলে না যায়, সে জন্য কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে রাজ্যজুড়ে। তার দাবি, মানুষের ওপর জোর করে কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করছে না পুলিশ। সাধারণ মানুষ যাতে বাইরে বেরিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে পারে, সে কারণে লাগাম অনেকটাই আলগা করা হয়েছে। তবে সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেই ইন্টারনেট পরিষেবা স্বাভাবিক করা হবে বলে জানিয়েছেন মহন্ত।
আসাম ছাড়াও ত্রিপুরা, মেঘালয়েও সিএবির বিরুদ্ধে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে। মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। পুলিশ-বিক্ষোভকারীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় শুক্রবারেও। দিল্লিতেও জামিয়া-মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্বিদ্যালয়ের ছাত্রদের সাথে পুলিশের খণ্ডযুদ্ধ হয়।

বিভিন্ন সূত্রের খবর অনুসারে, আসামের পরিস্থিতি এখনো পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। বিক্ষোভের আঁচ অনেকটাই স্তিমিত। রাজধানী গৌহাটিতে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শিথিল করা হয়েছে কার্ফু। তবে নিরাপত্তার কারণে ইন্টারনেট ও ব্রডব্যান্ড পরিষেবা এখনো বন্ধ রাখা হয়েছে। শুক্রবারই অল আসাম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (আসু) শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের আবেদন জানায়। আসুর উপদেষ্টা সমুজ্জ্বল ভট্টাচার্য বিক্ষোভকারীদের সংযত হওয়ার আহ্বান জানান। ফলে একটু একটু করে স্বাভাবিক হয়ে উঠছে পরিস্থিতি।

ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আমেরিকা ও ব্রিটেনের : সিএবির প্রতিবাদে যে ভাবে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলোতে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছে সেই পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে তাদের দেশের নাগরিকদের সতর্কবার্তা দিয়েছে আমেরিকা ও ব্রিটেন। এই মুহূর্তে ভারতের এই রাজ্যগুলোতে খুব প্রয়োজন না হলে যেতে নিষেধও করেছে দুই দেশ। ব্রিটেন যে অ্যাডভাইজরি জারি করেছে, তাতে বলা হয়েছে, সিএবির প্রতিবাদে ফুটছে ভারতের কিছু অংশ। হিংসার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে অসম ও ত্রিপুরায়। যদি ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলোতে একান্তই যেতে হয়, তা হলে সে দেশের পর্যটকরা যেন গোটা পরিস্থিতির খবর নিয়ে যেন সেখানে যান। শুধু তা-ই নয়, স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশও মেনে চলার পরামর্শ দেয়া হয়েছে ওই অ্যাডভাইজরিতে। একই রকম অ্যাডভাইজরি জারি করেছে আমেরিকাও। তবে আসাম ভ্রমণে তাদের নাগরিকদের ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আমেরিকা।

ভারতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রভাব সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা পর্যবেক্ষণের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত মার্কিন কূটনীতিক স্যাম ব্রাউনব্যাক। গত শুক্রবার তিনি বলেন, ভারতে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল কার্যকরী করার বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র খুবই উদ্বিগ্ন!

লার্জ ফর ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডমের রাষ্ট্রদূত স্যাম ব্রাউনব্যাক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটার বার্তায় বলেন, ‘ভারতের অন্যতম বড় শক্তি তার সংবিধান। গণতন্ত্র হিসেবে আমরা ভারতের প্রতিষ্ঠানগুলোকে সম্মান করি। কিন্তু নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের ফলাফল নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন!’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা আশা করি সরকার ধর্মীয় স্বাধীনতাসহ তার সব সাংবিধানিক প্রতিশ্রুতি মেনেই চলবে।’
আগামী সপ্তাহেই ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা রয়েছে। তার আগেই স্যাম ব্রাউনব্যাক ওই মন্তব্য করলেন। আগামী ১৮ ডিসেম্বর ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন বিদেশমন্ত্রী সচিব মাইক পম্পেও এবং প্রতিরক্ষা সচিব মার্ক এস্পারের সাথে বৈঠকে বসবেন বলে কথা রয়েছে।
অন্য দিকে জেনোসাইড ওয়াচের গ্রেগরি স্ট্যান্টন গত বৃহস্পতিবার ভারতীয়-আমেরিকান মুসলিম কাউন্সিল, এমগেজ অ্যাকশন এবং হিন্দুস ফর হিউম্যান রাইটস আয়োজিত একটি আলোচনা সভায় কাশ্মির ও অসমের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

ক্যাব না মানায় মমতার পাশে আরো ৪ রাজ্য : প্রথম থেকেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করে আসছেন, বাংলায় তিনি কিছুতেই এনআরসি করতে দেবেন না। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (ক্যাব) কার্যকরী করতে দেবেন না। প্রাণ থাকতে তিনি এভাবে রাজ্যে বিভাজন হতে দেবেন না। আর এবার মুখ্যমন্ত্রী পাশে এসে দাঁড়াল আরো চার রাজ্য। পাঞ্জাব, মধ্যপ্রদেশ ও কেরল একসুরে জানায় তারাও এনআরসি ও ক্যাবকে সমর্থন করবে না। রাজ্যে এই আইন চালু করবে না। এই তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শুক্রবার সাফ জানিয়ে দিয়েছে, কেন্দ্রের আনা নাগরিকত্ব আইনটি তারা মানবেন না। মমতার সুরে সুর মিলিয়ে তারাও জানিয়েছেন, এই আইন দেশের ধর্মনিরপেক্ষতার পরিবেশকে বিঘিœত করবে। মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা নীতিন রাউত দাবি করেছেন, তারাও রাজ্যে এই আইন কার্যকরী করতে দেবেন না। বুধবার সংসদে নাগরিকত্ব বিল পাস হওয়ার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তার বিরোধিতা করেন। মমতা বলেন, ‘এই বিল নিয় ভয় পাবেন না। আমরা আপনাদের সাথে রয়েছি।

আর যতক্ষণ আমরা বাংলায় রয়েছি কেউ আপনাদের ওপর কিছুই চাপিয়ে দিতে পারবে না। একই কথা শোনা গেছে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়নের গলাতেও। মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই এই আইনকে দেশের ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক চরিত্রের বিরোধী বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, তার রাজ্যে এই ধরনের ‘অসাংবিধানিক’ আইনের কোনো গুরুত্ব নেই। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘ভারতের সংবিধান জাতি-ধর্ম-বর্ণ-ভাষা-লিঙ্গ ও পেশা নির্বিশেষে সব ভারতীয়র নাগরিকত্ব অধিকারের নিশ্চয়তা দেয়। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের মাধ্যমে সেই অধিকারকে লঙ্ঘন করা হচ্ছে। ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্বের সিদ্ধান্ত নেয়ার পদক্ষেপ আসলে দেশের সংবিধানকে প্রত্যাখ্যান করারই সমান।’

পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংও জানিয়েছেন, তার রাজ্যে বিধানসভায় কংগ্রেসের সংখ্যাগরিষ্ঠতা এই ‘অসাংবিধানিক’ আইন কার্যকরী করতে বাধা দেবে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘এই আইন মানুষে মানুষে ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজন সৃষ্টি করবে। কোনো আইন যা দেশের জনগণকে ধর্মীয় ভিত্তিতে বিভক্ত করতে চায়, তা অবৈধ ও অনৈতিক।’ মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ বলেন, ‘ক্যাব নিয়ে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব যে পথ নেবে আমরা তাকে অনুসরণ করব। আমরা কি সেই পদ্ধতির অংশ হতে চাইব, যা দেশে বিভাজনের বীজ বপন করে?’ মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা নীতিন রাউত জানানÑ তারাও রাজ্যে এই ক্যাব কার্যকরী করতে দেবেন না। তার আশা, শিবসেনাও তাদের এই দাবিকে মান্যতা দেবে।