নতুন বছরে পেলেকে টপকে যাবেন মেসি?
শুরু হয়েছে নতুন বছর। পাশাপাশি নতুন দশকেরও আগমন। এই নতুন দশকেই হয়তো ক্যারিয়ারের ইতি টানবেন আর্জেন্টিনার ও বার্সেলোনা ক্লাবের তারকা ফুটবলার লিওনেল মেসি এবং পর্তুগাল ও জুভেন্টাস ক্লাবের ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। গত এক দশকে ফুটবল বিশ্বকে অনেক দিয়েছেন এই দুই তারকা। তাদের স্থান নেয়ার জন্য এখনো কাউকে দেখা যায়নি। যদিও ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার যোগ্য সঙ্গী ছিলেন। কিন্তু ইনজুরি তাকে প্রায় মাঠ থেকে ছিটকে দেয়। তবে ফ্রান্সের কিলিয়ান এমবাপে অসাধারণ খেললেও মেসি-রোনাল্ডোর ধারেকাছেও আসতে পারবেন না বলে অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন। বছরের পর বছর ধারাবাহিক পারফরম্যান্স দিয়ে এই দু’জন বিশ্ব ফুটবলকে শুধু সমৃদ্ধ নন, সম্পৃক্তও করেছেন।
ক্যারিয়ারের ইতি টানার এই দশকে ফুটবলের কিংবদন্তি পেলের রেকর্ড ভাঙ্গার হাতছানি দিচ্ছেন মেসি। বার্সেলোনার হয়ে আর মাত্র ২৬টি গোল করতে পারলেই তিনি ছাড়িয়ে যাবেন পেলেকে।
নতুন বছরে মেসির লক্ষ্য কী? ব্যক্তিগত কীর্তির থেকে ক্লাবকে সাফল্য এনে দেয়াই তার লক্ষ্য। একাধিক সাক্ষাৎকারে নিজেই এই মনোভাব জানিয়েছেন তিনি। তবে কাতালন ক্লাবের জার্সি গায়ে চাপিয়ে আর ২৬টি লক্ষ্য ভেদ করতে পারলেই মেসি টপকে যাবেন ফুটবলসম্রাট পেলেকে। স্যান্টোসের হয়ে ৬৪৩টি গোল রয়েছে তার। আর বার্সার হয়ে এখনো পর্যন্ত ৬১৮ বার বিপক্ষের জালে বল ভেড়িয়েছেন মেসি।
এছাড়া বার্সেলোনার হয়ে সর্বাধিক ম্যাচ খেলার রেকর্ডও হাতছানি দিচ্ছে মেসিকে। স্প্যানিশ মিডিও জাভি হার্নান্ডেজ খেলেছেন ৭৬৭টি ম্যাচ। দ্বিতীয় স্থানে মেসি খেলেছেন ৭০৫টি ম্যাচ। তবে পেলে কিংবা জাভি, কেউই মেসির নজরে নেই। কারণ তার চোখ এখন উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে।
পরিসংখ্যান বলছে, গত দশ বছরে মেসি ও রোনাল্ডোই বিশ্ব ফুটবলের আকর্ষণের দুই কেন্দ্রবিন্দু। বার্সার প্রাণভোমরা এই পর্বে করেছেন ৫৭৯টি গোল। খুব পিছিয়ে নেই ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোও। তার ঝুলিতে রয়েছে ৫৫৪ গোল।
কেনো বাকিদের ছাপিয়ে এই দু’জনকেই মেগাস্টার তকমা পেয়েছেন? প্রশ্নের উত্তরে গ্যারি লিনেকারের বিশ্লেষণ, ‘পেশার প্রতি এরকম দায়বদ্ধতা এবং নিজেকে ছাপিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখাই মেসি ও রোনাল্ডোর মূলধন। বয়সের সাথে সাথে সাফল্যের খিদেও বাড়ছে দু’জনের। শুধু উঁচু তারে লক্ষ্য বাঁধাই নয়, তা স্পর্শের জন্য কঠিনতম পরিশ্রমই মেসি ও রোনাল্ডোকে এই জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে। নেইমার অবশ্যই এদের জায়গা নিতে পারতো। কিন্তু ফুটবলের প্রতি ওর সেই পর্যায়ে ভালোবাসা বা দায়বদ্ধতা নেই।’