ধর্ষককে ‘চিনতে পারবে’ ঢাবি ছাত্রী
রাজধানীর কুর্মিটোলায় ধর্ষণের শিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আজ তাকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাসিমা বেগম। তিনি জানিয়েছেন, ছাত্রীটি ধর্ষককে দেখলে চিনতে পারবেন।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ওই ছাত্রীকে দেখতে ঢাকা মেডিক্যালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে যান নাসিমা বেগম। পরে সাংবাদিকদের জানান, ‘আমরা ছাত্রীটির সাথে কথা বললাম, দেখলাম যে মেয়েটি অত্যন্ত সাহসী, সে সাহসের পরিচয় দিয়েছে। সে যেহেতু আসামির চেহারার একটি বর্ণনা দিতে পারছে, অবিলম্বে একটি স্কেচ এঁকে আসামি শনাক্ত ও গ্রেফতার করার ব্যবস্থা যাতে করা হয় সেটা আমি বলেছি।’
নাসিমা বেগম বলেন, মেয়েটি দেরি না করে ঢাকা মেডিক্যালে গিয়ে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছে। আলামত নষ্ট হতে দেয়নি। এখন পরীক্ষা করে ডিএনএ মিলিয়ে প্রকৃত ধর্ষককে শনাক্ত করা কঠিন হওয়ার কথা নয়। সাহস আর মনের জোরের কারণে মেয়েটির অবস্থার দ্রুত উন্নতি হচ্ছে বলে জানান মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান।
অপরাধীর কঠোর শাস্তি দাবি করে তিনি বলেন, ‘নারী কি এতোটাই সহজ যে, বৃদ্ধ থেকে শিশু সবাই যৌন হয়রানির শিকার হবে।’
নাসিমা বেগম বলেন, ডিএনএ অধিদফতরের অধীনে জাতীয় সার্ভারে ডিএনএ নমুনা সংরক্ষিত থাকলে এ ধরনের অপরাধীকে ধরা অনেক সহজ হত। আলামত পরীক্ষা করে ডিএনএ মিলিয়েই ধর্ষণকারীকে চিহ্নিত করা যেত। তাতে এ ধরনের অপরাধও কমে যেত।