দেশনেত্রীর মুক্তি চাই, তাকে বাঁচাতে চাই : মির্জা ফখরুল
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আগামী শনিবার বিএনপি চেয়ারপরসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করবে বিএনপি। শনিবার দুপুর ২টায় রাজধানীর নয়াপল্টন থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে যাবে বিএনপি। বুধবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের নিয়ে এক যৌথ সভা শেষে একথা জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারাগারে বন্দি রাখা হয়েছে। এটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে। দেশের রাজনীতি ধ্বংস করার জন্য পরিকল্পিতভাবে সরকার এটা করেছে। আমি বিশ্বাস করি দেশের মানুষ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আমাদের বিক্ষোভ মিছিলে শরিক হবে। আমি দেশপ্রেমিক সকলকে মিছিলে অংশ নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।
এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে জনগণকে সাথে নিয়েই নিয়মতান্ত্রিকভাবে যা করার দরকার, তা করছি। তিনি বলেন, প্যারোলে মুক্তির বিষয়ে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। আমরা দেশনেত্রীর মুক্তি চাই, তাকে বাঁচাতে চাই।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সৈয়দ মেয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল, সমাজকল্যাণ সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভুইয়া জুয়েল, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম মাহতাব, সদস্য সচিব আবদুর রহিম, ওলামা দলের শাহ মুহাম্মদ নেছারুল হক, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসাইন, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক আহমদ খান, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, ঢাকা জেলা বিএনপির ডা. দেওয়ান মো: সালাউদ্দিন, ঢাকা উত্তর বিএনপির খন্দকার আবু আশফাক, আহসান উল্লাহ হাসানসহ দলটির অঙ্গ সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা।