দিল্লির রাস্তায় হাঁটা মানে ১৪৮টি সিগারেট খাওয়া
ভারতের রাজধানী দিল্লির দূষণমাত্রা ৫০০ স্পর্শ করেছে সোমবার। দিল্লি-এনসিআর অঞ্চলে বায়ুর এই গুণমান ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানিয়েছে সমস্ত পরীক্ষায়। ঘন ধোঁয়াশায় ছেয়ে যায় রাজধানীর আকাশ বাতাস। শহরজুড়ে ধোঁয়াশা, কম দৃশ্যমানতার জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় স্কুল-কলেজ। সম্পূর্ণরূপে ব্যাহত হয়েছে কাজকর্ম।
রাজধানী শহরে শ্বাস নিতেই কষ্ট
রাজধানী শহরে শ্বাস নিতেই কষ্ট হচ্ছে মানুষের। এই অবস্থায় চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়েছিলেন, শহর থেকে বেরিয়ে আসার। এর ফলে চোখ জ্বলছে, গলা শুকনো হয়ে যাচ্ছে, শ্বাসকষ্টে পড়ছেন সকলে। এখন রাজধানী শহরে নিরাপদ থাকাই দস্তুর হয়ে উঠেছে।
সপ্তাহে ১৪৮ সিগারেটে টানের সমান
পরিবেশবিদরা এই দূষণমাত্রাকে সিগারেটের ধোঁয়ায় ২৪ ঘণ্টা আচ্ছন্ন থাকার সঙ্গে তুলনা করেছেন। তাদের যুক্তি, এক ব্যক্তি যদি সপ্তাহে ১৪৮টি সিগারেট খান, তবে এই রকম দূষণের কবলে পড়বেন। যারা সিগারেট খান না, দিল্লির রাস্তা দিয়ে যাওয়ার অর্থ সিগারেটের ধোঁয়ায় ডুবে থাকা। দিনে ২১টিরও বেশি সিগারেট খাওয়া হচ্ছে দিল্লির রাস্তায় ভ্রমণ করলে।
অ্যাপই জানাচ্ছে দূষণে সিগারেটের তথ্য
একটি অ্যাপের মাধ্যমেই এই তথ্য জানা যাচ্ছে। দিল্লির রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় ওই অ্যাপই জানাচ্ছে আপনার সিগারেট খাওয়ার মাত্রা কত। এই অ্যাপ হল ‘শিট, আই স্মোক’। এই অ্যাপটি গত বছর মার্সেলো কোহেলো এবং আমাওরি মার্টিনি প্রকাশ করেছিল।
দূষণমাত্রা পর্যবেক্ষণ করবে এই অ্যাপটি
মূলত আইওএস এবং অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে এই অ্যাপটি কাজ করবে। কোনও নির্দিষ্ট জায়গায় বায়ুর গুণমান বিশ্লেষণের জন্য বিভিন্ন স্থানে দূষণমাত্রা পর্যবেক্ষণ করবে এই অ্যাপটি। সেই বিষাক্ত স্থানে বা দূষিত নগরীতে বায়ুতে শ্বাস নেওয়ার মাধ্যমে আপনি কতগুলি সিগারেট পান করছেন তা জানিয়ে দেবে।
অ্যাপ্লিকেশনটির নির্মাতারা ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। তারা গবেষণার ভিত্তিতে তৈরি করেছেন অ্যাপটি। গণিতের মডেল ব্যবহার করে তারা এই অ্যাপের মাধ্যমে পরিংখ্যান দিচ্ছিলেন কতগুলি সিগারেটের ধোঁয়া পান করার মতো দূষণের কবলে রয়েছেন আপনি। সেই অ্যাপটিই দিল্লিতে প্রয়োগ করে এই পরিসংখ্যান পেয়েছেন পরিবেশবিদরা।