তুরস্ক দিয়ে যেভাবে উদ্বাস্তুরা যাচ্ছে ইউরোপে

December 17 2019, 09:50

ইউরোপীয় ইউনিয়নের গোপন রিপোর্ট বলছে, তুরস্ক হয়ে উদ্বাস্তু ও অভিবাসীদের ইউরোপে আসার ঢল নেমেছে৷ গত বছরের তুলনায় ২০১৯ এ সংখ্যাটা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে৷ এর ফলে ইইউ ও তুরস্কর মধ্যে উদ্বাস্তু চুক্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে৷

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত তুরস্ক হয়ে ৭০,০০২ উদ্বাস্তু ইউরোপে এসেছে৷ ২০১৮-এর তুলনায় সংখ্যাটা ৪৬ শতাংশ বেশি৷ ইইউ এর গোপন রিপোর্ট বলছে, এর মধ্যে ৬৮ হাজার লোক গ্রিসে গেছেন এবং সেখানে এমনিতেই উপচে পড়া উদ্বাস্তু শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন৷ বাকিরা গেছেন বুলগেরিয়া, ইটালি ও সাইপ্রাসে৷

সাম্প্রতিক প্রবণতা হলো, ইউরোপে অধিকাংশ উদ্বাস্তু আসছেন আফগানিস্তান থেকে৷ মোট উদ্বাস্তুর ৩০ শতাংশই আফগানিস্তানের লোক৷ এ ছাড়া সিরিয়া থেকে এসেছেন ১৪ শতাংশ, পাকিস্তান থেকে ৯.৫ শতাংশ, ইরাক থেকে ৮ শতাংশ ও তুরস্ক থেকে ৫ শতাংশ৷

ঘটনা হলো, গ্রিসের এজিয়ান দ্বীপপুঞ্জের উদ্বাস্তু শিবিরে এখন তিল ধারনের জায়গা নেই৷ সেখানে খাবার, ওষুধ, পোশাক সবকিছুর অভাব৷ তাই গ্রিস সরকার তাদের মূল ভূখণ্ডে নিয়ে আসছে৷

কিন্তু উদ্বাস্তুদের এই ঢল তুরস্কের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের চুক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে৷ এই চুক্তি অনুসারে, তুরস্কের মধ্যে দিয়ে অভিবাসী বা উদ্বাস্তুরা ইউরোপে আসতে চাইলে তাদের বাধা দেয়া হবে৷ বিনিময়ে তুরস্ক ৬০০ কোটি ইউরো পাবে৷ সিরিয়া-সঙ্কট দেখা দেয়ার পর ইইউ এই ব্যবস্থা নিয়েছিল৷ এখন অবশ্য তুরস্ক পাল্টা ইইউ-র বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেছে, তাদের আরো অর্থ লাগবে৷ ইইউ র রিপোর্ট বলছে, ‘অনেক সময়ই দেখা যাচ্ছে, তুরস্কের নজরদারি নৌযানগুলো উদ্বাস্তুদের নৌকা থামানো দূরস্থান, বরং সেগুলিকে গ্রিসের নৌসীমায় পাঠিয়ে দিচ্ছে৷’

ফলে সমস্যা বাড়ছে৷ রিপোর্ট এটাও জানাচ্ছে, ‘কিছু উদ্বাস্তু গ্রিসে থেকে যাচ্ছে৷ কিছু আবার আলবেনিয়া সীমান্তে যাওয়ার চেষ্টা করছে৷ সেখান থেকে চোরাচালানকারীদের সাহায্যে তারা অস্ট্রিয়া ও জার্মানিতে ঢোকার চেষ্টা করছে৷’
সূত্র : ডয়চে ভেলে