‘ট্রাম্প ফল মেনে না নেওয়ায় বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে’

November 11 2020, 06:50

জো বাইডেন বলেন, ‌আমরা এরই মধ্যে ক্ষমতা গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করেছি। ট্রাম্প যে পরাজয় স্বীকার করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তাতে কোনও লাভ হবে না। এ নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। তবে এটি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বিব্রতকর।

ডেলাওয়ারেই বাইডেন এই অন্তর্ব্তী সময়ে ক্ষমতা গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করছেন। নির্বাচিত হওয়ার পর এখান থেকেই বিজয় ভাষণ দিয়েছেন তিনি।

২০ জানুয়ারি সম্ভাব্য শপথ গ্রহণের পর নিজ প্রশাসনের অগ্রাধিকার তালিকা নিয়ে এই মুহূর্তে ব্যস্ত সময় পার করছেন বাইডেন। অন্যদিকে বাইডেনের এই ঘোষিত বিজয়কে উল্টে দিতে বড় ধরনের কোনও প্রমাণ ছাড়াই নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ তুলছেন ট্রাম্প। ভোট গ্রহণ ও ভোট গণনায় অনিয়মের অভিযোগ এনে এরইমধ্যে ট্রাম্প শিবিরের পক্ষ থেকে ডজনখানেক মামলা করা হয়েছে।

বাইডেন সবার আগে করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলার ওপর জোর দিচ্ছেন। এ ভাইরাসে যুক্তরাষ্ট্রে এরইমধ্যে দুই লাখ ৪৫ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বাইডেন বলছেন, এ বছর ২৬ নভেম্বর থ্যাংকস গিভিং ডে-র ছুটির আগেই তিনি গোটা দুয়েক গুরুত্বপূর্ণ পদে মনোনয়ন দেবেন।

এদিকে ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যাপারে বাইডেনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কোনও সহযোগিতা করছে না ট্রাম্প প্রশাসন। এখন পর্যন্ত বাইডেনের বিজয় মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ।

নিয়ম অনুযায়ী, ২০ জানুয়ারি নতুন প্রেসিডেন্ট শপথ নেওয়ার কথা। এর আগেই বিদায়ী ও আসন্ন প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয়ের কাজটি সেরে নিতে হয়। তবে ট্রাম্প এখনও হার মেনে না নেওয়ায় সেই সমন্বয়ের প্রক্রিয়া এখনও শুরু হয়নি। সোমবার বাইডেন শিবির একজন কর্মকর্তা জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে এখন আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছেন তারা।

বিদায়ী ও আসন্ন প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয়ের কাজটি করে থাকে জেনারেল সার্ভিসেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিএসএ)। তারাই পুরনো প্রশাসনের কাছ থেকে নুতন প্রশাসনকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার কাজটি করে থাকে। এখন এই জিএসএ-র বিরুদ্ধেই আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা করছে বাইডেন শিবির।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জিএসএ কখন সরকার বদলের এ প্রক্রিয়া শুরু করবে সে ব্যাপারে আইনে সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলা নেই। তবে বাইডেন শিবির বলছে, তাদের বিজয় পরিষ্কার। ফলে এখানে বিলম্ব বা কালক্ষেপণ করার কোনও সুযোগ নেই।

জেনারেল সার্ভিসেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-এর বর্তমান প্রশাসক এমিলি মারফি। ২০১৭ সালে তাকে নিয়োগ দেন ট্রাম্প। এবারের নির্বাচনে এখনও কারও বিজয় চূড়ান্ত বলে মনে করছেন না মারফি। তবে তার ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, মারফি একজন পেশাদার মানুষ। ফলে একটি গ্রহণযোগ্য সিদ্ধান্তে উপনীত হতে তিনি সময় নিচ্ছেন।