চুয়াডাঙ্গায় ইতালিফেরেত এক যুবকের শরীরে করোনাভাইরাসের অস্বিত্ব মিলেছে। বৃহস্পতিবার বিকাল সিভিল সার্জন ডা. এএসএম মারুফ হাসান সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ৩০ বছর বয়স্ক ওই যুবককে বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটের একটি কক্ষে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার বাবাকেও রাখা হয়েছে হাসপাতালের কোয়ারেন্টাইন হোমে।

সংবাদ বিফ্রিং আরো জানানো হয়, গত ১২ মার্চ ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে ইতালি থেকে দেশে ফেরে ওই যুবক। বিমানবন্দরে তার স্বাস্থ্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার ছাড়পত্রও দেওয়া হয়। ঢাকাতে দুই দিন অবস্থানের পর ১৪ মার্চ নিজ জেলা চুয়াডাঙ্গাতে ফেরেন ইতালি ফেরত ওই যুবক। একদিন পর থেকেই ঠান্ডা, কাশি ও গলাব্যাথাসহ জ্বরে আক্রান্ত হয় সে। খবর পেয়ে গত ১৬ মার্চ তাকে ভর্তি করানো হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে।

সিভিল সার্জন আরও জানান, ভর্তির পর ঢাকা আইইডিসিআর’র একটি প্রতিনিধি দল চুয়াডাঙ্গাতে এসে ওই যুবকের শরীরের নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। এরপর তার শরীরের রক্ত সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয় আইইডিসিআরে। বুধবার রাতে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর আইইডিসিআর ওই যুবকের শরীরে করোনা ভাইরাস সনাক্তের রির্পোট দেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিভিল সার্জন জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত স্বাস্থ্য বিভাগের হিসাব মতে, জেলার চার উপজেলাতে মোট ৮৩ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইন হোমে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলাতে ২ জন, জীবননগরে ৩৩ জন, দামুড়হুদাতে ১৩ আলমডাঙ্গাতে ৩৫ জন রয়েছেন। তাদেরকে স্বাস্থ্য বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা পর্যবেক্ষণে রেখে তাদেরকে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন।

স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে যেহুতু করোনা আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে সেহুতু বিনা কারণে হাসপাতালে জনসাধারণকে হাসপাতালে না আসার জন্যও অনুরোধ জানান তিনি।